Nikah Halala

মুসলিমদের চার বিয়ে কি বৈধ? খতিয়ে দেখতে পাঁচ বিচারপতির নয়া বেঞ্চ গড়ছে সুপ্রিম কোর্ট

২০১৭ সালে অগস্টে সুপ্রিম কোর্ট তিন তালাক (তালাক-ই বিদ্দত) প্রথাকে ‘অসাংবিধানিক এবং বেআইনি’ ঘোষণা করেছিল। তার পরেই প্রশ্ন ওঠে বহুবিবাহ এবং নিকাহ্‌ হালালা প্রথা নিয়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২২ ১৮:৩০
Share:

গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

মুসলিম পুরুষদের মধ্যে বহুবিবাহ এবং নিকাহ্‌ হালালার যে প্রথা রয়েছে, তার সাংবিধানিক বৈধতা নতুন করে খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। বৃহস্পতিবার এই উদ্দেশ্যে পাঁচ বিচারপতির নয়া সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠনের কথা জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালার বেঞ্চ একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন।

Advertisement

২০১৭ সালে অগস্টে সুপ্রিম কোর্ট ঐতিহাসিক রায়ে তিন তালাক (তালাক-ই বিদ্দত) প্রথাকে ‘অসাংবিধানিক এবং বেআইনি’ ঘোষণা করেছিল। এর পর ২০১৮ সালে একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে বহুবিবাহ এবং নিকাহ্‌ হালালা প্রথার সাংবিধানিক বৈধতা খতিয়ে দেখতে সম্মত হয় শীর্ষ আদালত। ওই আবেদনে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছিল মুসলিম পুরুষের একই সঙ্গে চার জন স্ত্রী থাকার অধিকারের বৈধতাকে।

সেই সঙ্গে ‘নিকাহ্‌ হালালা’ প্রথাকেও ‘অসাংবিধানিক’ বলে দাবি করা হয় ওই আবেদনে। এই প্রথা অনুযায়ী, কোনও মুসলিম নারী যদি সেই পুরুষকে বিয়ে করতে চান, যাঁর সঙ্গে তাঁর একবার বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে, তা হলে আগে অন্য কোনও পুরুষকে বিয়ে করে তাঁর থেকে তালাক নিয়ে আসতে হবে।

Advertisement

এর পর সুপ্রিম কোর্ট বহুবিবাহ এবং নিকাহ্‌ হালালার সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের হওয়া আবেদনগুলির শুনানির উদ্দেশ্যে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ গঠন করে। কিন্তু বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত বেঞ্চ থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করায় কাজ শুরু করা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায় বেঞ্চ পুনর্গঠনের দাবিতে শীর্ষ আদালতে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement