নোটবন্দির বিষয়ে বহু প্রশ্ন ২০১৬ সালেই উত্থাপিত হয়েছিল। ফাইল চিত্র।
নোটবন্দির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করার প্রশ্নটি এত দিনে তাত্ত্বিক (অ্যাকাডেমিক) বিষয়ে পর্যবসিত হয়েছে কি না, সেটা আগে খতিয়ে দেখতে চায় সুপ্রিম কোর্ট। ১২ অক্টোবর এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে তারা।
নোটবন্দির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ৫৮টি আবেদন একত্র করে জমা রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের কাছে। বুধবার পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি এস আব্দুল নাজ়ির, বিচারপতি বি আর গাভাই, বিচারপতি এ এস বোপান্না, বিচারপতি ভি রামসুব্রমনিয়ন এবং বিচারপতি বি ভি নাগরত্ন। বিচারপতি নাজ়ির এবং বিচারপতি গাভাই দু’জনেই আজ প্রশ্ন তোলেন, নোটবন্দির সিদ্ধান্তের পর্যালোচনা কি এত দিনে তাত্ত্বিক বিষয়ে পর্যবসিত হয়নি? এর কি আর কোনও প্রাসঙ্গিকতা অবশিষ্ট আছে?
আবেদনকারীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, নোটবন্দির বিষয়ে বহু প্রশ্ন ২০১৬ সালেই উত্থাপিত হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট নিজেই সেগুলি চিহ্নিত করে সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠিয়েছিল এবং হাই কোর্টে এ সংক্রান্ত আবেদন যাতে শোনা না হয়, সেই নির্দেশও দিয়েছিল। আবেদনকারীদের তরফে এও বলা হয় যে, এই মামলার দু’টি দিক আছে। সরকারের সিদ্ধান্ত বৈধ ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা এবং নাগরিকদের হয়রানির প্রশ্নটি বিবেচনা করা।
সরকারের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা অবশ্য খোলাখুলিই বলেন, বাস্তবতার দিক থেকে এর আর কোনও প্রাসঙ্গিকতা নেই। তাত্ত্বিক দিক থেকে যদি আদালত এর বিচার করতে চায়, সরকার সহযোগিতা করবে।
বিচারপতি গাভাই তখন বলেন, ‘‘অজস্র মামলা যখন জমে আছে, তখন পাঁচ জন বিচারপতির তাত্ত্বিক বিষয়ে সময় খরচ করা উচিত কি?’’ মেহতা উত্তরে বলেন, ‘‘নাগরিক অধিকারের সঙ্গে সম্পর্কিত বহু বিষয় পড়ে রয়েছে।’’ বিচারপতি নাজ়ির এর পরে বলেন, ‘‘১২ অক্টোবর বিষয়টির ফয়সালা হবে। প্রথমেই যেটা দেখা হবে, বিষয়টা এখন তাত্ত্বিক প্রশ্নে পর্যবসিত হয়েছে কি না এবং আদৌ মামলাটি শোনা হবে কি না।’’