নোট বাতিল নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের সিদ্ধান্তে এই মুহূর্তে হস্তক্ষেপ করতে রাজি হল না দেশের শীর্ষ আদালত। তবে সরকারের সিদ্ধান্ত সাংবিধানিক ভাবে বৈধ কিনা, তা খতিয়ে দেখতে মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের কাছে পাঠানো হল।
গত ৮ নভেম্বর মোদী সরকার নোট বাতিলের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। প্রধান বিচারপতি টি এস ঠাকুরের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চের সামনে আইনজীবী কপিল সিব্বল এ দিন আর্জি জানান, ৫০০ ও ১০০০ টাকার পুরনো নোট হাসপাতাল ও পেট্রোল পাম্পগুলিতে আরও কিছু সময় ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হোক। তিনি জানান, নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ায় কোথাও পুরনো নোট ব্যবহার করা যাচ্ছে না। তবে আদালত এই সময়সীমা বাড়াতে রাজি হয়নি। বরং কোর্ট মন্তব্য করেছে, ‘‘পুরনো নোট কোথাও ব্যবহার করা যাবে কিনা, তা সরকার ঠিক করবে। আশা করছি, সরকার সহানুভূতির সঙ্গে বিষয়টি বিবেচনা করবে ও এই বিষয়ে তাদের দায়বদ্ধতা দেখাবে।’’
নোট-আকালে ব্যাঙ্কগুলিতে ভিড়, লম্বা লাইন এটিএম-এ। এরই মধ্যে সপ্তাহে ২৪ হাজার টাকা তোলার সীমা বেঁধে দিয়েছে সরকার। মানুষের ভোগান্তি কমাতে এই অঙ্ক বাড়ানোর জন্যও সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানানো হয়েছিল। তবে এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চায়নি শীর্ষ আদালত। কোর্ট বলেছে, ব্যাঙ্ক থেকে সপ্তাহে ২৪ হাজার টাকা তোলার যে সুযোগ দেওয়া দেওয়া হয়েছে, তা ‘নিশ্চিত করার চেষ্টা করুক’ কেন্দ্রীয় সরকার। মানুষের ভোগান্তির কথা ভেবেই সরকারের এই পদক্ষেপ করা উচিত— মন্তব্য আদালতের।
শুক্রবার শীর্ষ আদালতে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, যে পরিমাণ নতুন ২০০০ ও ৫০০ টাকার নোট নিয়ে আসা হয়েছে, তাতে বাতিল হওয়া মোট টাকার ৪০ শতাংশ ইতিমধ্যেই পূরণ করা সম্ভব হয়েছে। নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন হাইকোর্টে যে সব আবেদন হয়েছিল, সেই মামলাগুলিরও শুনানি আর আলাদা করে হবে না। সুপ্রিম কোর্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সব ক’টি মামলাই তারা বিচার করে দেখবে। আদালতের এই সিদ্ধান্তে মামলাগুলি এ বার এক ছাতার নীচে আসছে।