Supreme Court's stance of Firecrackers

কোনও ধর্মই দূষণ ছড়াতে উৎসাহ দেয় না: সুপ্রিম কোর্ট

রাজধানীতে বাজি তৈরি ও বিক্রি বন্ধ করতে দিল্লি পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ‘কোনও ধর্মই দূষণ ছড়াতে উৎসাহ দেয় না।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৫০
Share:

সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

কোনও ধর্মই দূষণ ছড়াতে উৎসাহ দেয় না— আজ এই মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি, দীপাবলির সময় বাজি নিষিদ্ধ করা সত্ত্বেও দিল্লি পুলিশ ও রাজ্য সরকার কড়া পদক্ষেপ করতে না পারায় তাদের ভর্ৎসনা করেছে শীর্ষ আদালত। ভবিষ্যতে দিল্লিতে বাজি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার জন্য রাজ্য সরকারকে পদক্ষেপ করতেও বলেছেন বিচারপতিরা।

Advertisement

রাজধানীতে বাজি তৈরি ও বিক্রি বন্ধ করতে দিল্লি পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ‘কোনও ধর্মই দূষণ ছড়াতে উৎসাহ দেয় না। শব্দবাজি ফাটানো যদি ফ্যাশন হয়ে দাঁড়ায়, তা হলে বলতে হবে, নাগরিকদের স্বাস্থ্যের মৌলিক অধিকারও লঙ্ঘিত হচ্ছে’। দিল্লির বায়ুদূষণের সমস্যা নিয়ে মামলা শুনতে গিয়ে বিচারপতি অভয় এস ওকা ও বিচারপতি অগস্টিন জর্জ মসীহের বেঞ্চ আজ রাজ্য সরকারকে স্থায়ী ভাবে বাজি নিষিদ্ধ করার জন্য পদক্ষেপ করতে বলেছে। ২৫ নভেম্বরের মধ্যে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। গত সপ্তাহেই পুলিশকে ভর্ৎসনা করে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে দেখা গিয়েছে, দিল্লিতে বাজি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত যথাযথ ভাবে রূপায়ণ করা হয়নি। আজ বিচারপতিরা পুলিশকে প্রশ্ন করেন, ১৪ অক্টোবরের পর পুলিশ কি বাজি বিক্রি বন্ধ করতে উদ্যোগী হয়েছিল? দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে ইতিবাচক জবাব এলে বিচারপতিরা বলেন, ‘সবটাই লোক দেখানো।... আমরা দেখছি, (শীর্ষ আদালতের) নির্দেশ রূপায়ণ করতে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। পুলিশের হলফনামাতেও কোথাও বলা হয়নি যে বাজি প্রস্তুতকর্তা কিংবা বিক্রেতাদের কাছে নিষিদ্ধ করার বার্তা পৌঁছনো হয়েছে’। বাজির বিক্রি ও উৎপাদন বন্ধের জন্য কড়া পদক্ষেপ করতে দিল্লি পুলিশ কমিশনারকে আজ নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বাজি নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে শীর্ষ আদালতের নির্দেশের কথা ঘোষণা করতে কী কারণে দেরি হয়েছে, তা নিয়ে বিচারপতিদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে দিল্লি সরকারকেও।

দীপাবলির পর দিল্লির বাতাসের মান খুবই খারাপ অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছে। আর এরই মধ্যে নাসার তোলা উপগ্রহচিত্রে দেখা গিয়েছে, উত্তর ভারত থেকে পূর্ব পাকিস্তান— ঢেকে গিয়েছে দূষণের চাদরে। সীমান্তের ভেদ মুছে ‘অদৃশ্য’ হয়ে গিয়েছে দিল্লি
থেকে লাহোর। সংবাদ সংস্থা

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement