সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদ। — ফাইল ছবি।
শীর্ষ আদালত থেকে সাময়িক স্বস্তি পেলেন সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদ। গুজরাত হাই কোর্ট তাঁর নিয়মিত জামিনের আবেদন খারিজ করে তাঁকে যত দ্রুত সম্ভব আত্মসমর্পণ করতে বলে। হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান তিস্তা। সেখানেই সাময়িক স্বস্তি পেলেন তিনি।
২০০২ সালে গুজরাত হিংসায় তথ্যপ্রমাণ বিকৃত করার অভিযোগ তিস্তার বিরুদ্ধে। সেই মামলায় তিস্তার জামিনের আর্জি খারিজ করে দেয় গুজরাত হাই কোর্ট। তাঁকে অবিলম্বে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয় আদালত। তাকে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন সমাজকর্মী। গোধরা পরবর্তী গুজরাত হিংসা নিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক প্রচার চালানোর অভিযোগে ২০২২ সালের ২৫ জুন তিস্তাকে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করেছিল গুজরাত পুলিশ। যে ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল পুরো দেশে। গ্রেফতার হওয়ার প্রায় আড়াই মাস পরে জামিন পান তিনি। গুজরাতের জঙ্গি দমন শাখার হাতে ধৃত তিস্তার আবেদনে সাড়া দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে তাঁর অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে। সেই জামিনের মেয়াদ শেষে মেয়াদবৃদ্ধির আবেদন জানান তিস্তা। সেই সময়ই জামিনের আবেদন খারিজ করে তাঁকে দ্রুত আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। তাকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে যান তিস্তা।
সুপ্রিম কোর্টে তিস্তার আবেদনের শুনানি হয় বিচারপতি বিআর গাবাই, বিচারপতি এএস বোপন্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের এজলাসে। বেঞ্চ আবেদনটি পর প্রশ্ন করে, ‘‘যদি অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ দেওয়া হয় তাহলে কি আকাশ ভেঙে পড়বে! হাই কোর্ট যা করেছে আমরা তা দেখে অবাক হচ্ছি। এত তাড়াহুড়োর কী আছে?’’ এর পরেই গুজরাত হাই কোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নির্দেশে এক সপ্তাহ পর এই মামলাটি শুনবে একটি নিয়মিত বেঞ্চ। অর্থাৎ, আগামী এক সপ্তাহের জন্য গ্রেফতারি থেকে স্বস্তি পেলেন তিস্তা।