Mumbai police

আগে বম্বে হাইকোর্টে মামলা করুন, মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশকর্তাকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে চিঠি লেখেন পরমবীর। তিনি অভিযোগ করেন, মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ দুর্নীতিতে যুক্ত।

Advertisement

সংবাদসংস্থা

শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২১ ১৭:৪০
Share:

মুম্বই পুলিশের প্রাক্তন কর্তা পরমবীর সিংহ। ফাইল চিত্র।

মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন মুম্বই পুলিশের প্রাক্তন কর্তা পরমবীর সিংহ। নিজের অভিযোগের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন তিনি। কিন্তু দেশের শীর্ষ আদালত তাঁকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, আগে বম্বে হাইকোর্টে আবেদন করতে।

Advertisement

বুধবার সুপ্রিম কোর্ট পরমবীরের আইনজীবীদের জিজ্ঞাসা করেন, কেন তাঁরা শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার আগে হাইকোর্টে যাননি। তারা এও জানান, যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁকে কেন এই মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তার জবাবে পরমবীরের আইনজীবী মুকুল রোহতগি বলেন, আইনি কাজকর্ম চলছে। খুব তাড়াতাড়ি সেই কাজ হয়ে যাবে।

গত সপ্তাহে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে চিঠি লেখেন পরমবীর। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) নেতা তথা মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ একাধিক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। এই সব অভিযোগের সিবিআই তদন্তের দাবি জানান তিনি। এমনকি মুকেশ অম্বানীর বাড়ির বাইরে বোমা উদ্ধার হওয়ার পরে তাঁকে মুম্বই পুলিশের কর্তার পদ থেকে হোম গার্ডে পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা করেছেন তিনি।

Advertisement

চিঠিতে পরমবীর অভিযোগ করেন, তোলাবাজির চক্র চালাতেন অনিল। তাঁর এই চক্রের মধ্যে সচিন ওয়াজ-সহ অনেক আধিকারিক যুক্ত ছিলেন। সবাই মিলে প্রতি মাসে ১০০ কোটি টাকা করে তুলে দিতে হত অনিলকে। পুলিশ আধিকারিকরা এই টাকা তুলতেন বিভিন্ন বার, ক্লাব, রেস্তোরাঁ থেকে। এমনকি একাধিক তদন্তে অনিল হস্তক্ষেপ করতেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

এই মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন করেন পরমবীরের আইনজীবী। তাতে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, এই মামলার দ্রুত শুনানির অবশ্যই প্রয়োজন। তবে তার আগে বম্বে হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি হওয়া দরকার।

যদিও এই অভিযোগের বিষয়ে এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার বলেন, পরমবীরকে মুম্বই পুলিশের কর্তার পদ থেকে হোম গার্ডে পাঠিয়ে দেওয়ার পরেই এই সব অভিযোগ করছেন তিনি। আগে তিনি কেন কিছু বলেননি সেই প্রশ্নও করেছেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement