হেমন্ত সোরেন। — ফাইল চিত্র।
জমি জালিয়াতির ঘটনায় ধৃত ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের জামিন মামলায় ইডির কাছে জবাব তলব করল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। আগামী সপ্তাহে আবারও এই মামলার শুনানি হতে পারে।
জমি জালিয়াতি সংক্রান্ত বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলায় হেমন্তের নাম জড়িয়েছে। ৬০০ কোটি টাকার ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই তদন্তের সূত্রে গত ৩১ জানুয়ারি দুপুরে জেএমএম নেতা হেমন্তের রাঁচীর বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। প্রায় সাত ঘণ্টা তল্লাশির পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ৩০ জানুয়ারি তল্লাশি অভিযান চলেছিল তাঁর দিল্লির বাড়িতেও। ৩১ জানুয়ারি রাতে গ্রেফতারির আগে রাজভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন হেমন্ত। ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ প্রথম থেকেই অস্বীকার করেছেন হেমন্ত। জানিয়েছেন, উক্ত জমির সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। হেমন্তের গ্রেফতারি নিয়ে কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করে বিরোধীরা। তাঁর গ্রেফতারি বেআইনি বলেও দাবি করা হয়, তাঁর দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) তরফ থেকে।
ইডির গ্রেফতারি বেআইনি, তাই জামিন চেয়ে ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টে আবেদন করেন হেমন্ত। সেই মামলার শুনানি শেষ হলেও এখনও রায় দেয়নি, ঝাড়খণ্ডের উচ্চ আদালত। তার পরই গত বুধবার সুপ্রিম কোর্টেও জামিনের আবেদন জানিয়ে মামলা করেছেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের সামনে হেমন্তের গ্রেফতারির বিরোধিতা করে মামলাটি উপস্থাপিত করেছিলেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। লোকসভা নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে দ্রুত শুনানির আর্জিও জানানো হয় হেমন্তের তরফে। ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী সিব্বল বেঞ্চকে জানান, ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টে হেমন্তের মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। তাঁর গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করা হয়েছিল ঝাড়খণ্ডের উচ্চ আদালতে। তবে শুনানি শেষ হলেও সেই মামলার রায়দান স্থগিত রেখেছে হাই কোর্ট। তাই জামিনের আবেদন করা হয় দেশের শীর্ষ আদালতে।
হেমন্তের জামিনের মামলা নিয়ে ইডির বক্তব্য জানতে চেয়ে সোমবার নোটিস ইস্যু করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ইডি হেফাজত শেষে বর্তমানে তিনি রাঁচীর বিরসা মুন্ডা জেলে রয়েছেন।