দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল। — ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটের মধ্যে কি জামিন পাবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির (আপ) প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল? শুক্রবারই মিলতে পারে সেই প্রশ্নের উত্তর। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজুকে বুধবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খন্না জানান, আগামী ১০ মে কেজরীওয়াল মামলায় অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিতে পারেন।
ইডির গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন আপের আহ্বায়ক কেজরীওয়াল। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। শুনানিতে উঠে আসে কেজরীওয়ালের জামিন প্রসঙ্গ। সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর মঙ্গলবার কোনও নির্দেশ দেয়নি বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই নির্দেশ শুক্রবার দিতে পারে শীর্ষ আদালত।
মঙ্গলবারের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট মন্তব্য করেছিল, কেজরীওয়ালের দায়ের করা মামলা কোনও সাধারণ মামলা নয়। কেজরীওয়ালের হয়ে আদালতে সওয়াল করতে গিয়ে আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, ‘‘লোকসভা নির্বাচনে অংশ নেওয়া কেজরীওয়ালের গণতান্ত্রিক অধিকারের মধ্যে পড়ে।’’ বিচারপতি খন্নার বেঞ্চ জানায়, তারা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর অন্তর্বর্তিকালীন জামিনের আবেদন শুনবে। কারণ, কেজরীওয়াল এক জন জনপ্রতিনিধি। নির্বাচনে জিতেছেন। নির্বাচনে প্রচারের প্রয়োজন রয়েছে তাঁর। কেজরীওয়ালের জামিনের বিরোধিতা করে ইডি আদালতে জানায়, ফৌজদারি মামলায় ধৃত সকলের অধিকার সমান। কেজরীওয়ালকে জামিন দিলে ভুল বার্তা যাবে।
বিচারপতি খন্নার বেঞ্চ আরও বলে, ‘‘যদি কেজরীওয়ালকে অন্তর্বর্তিকালীন জামিন দেওয়া হয়, তবে আদালত চায় না, তিনি সরকারি কোনও কাজে যুক্ত থাকুন। না হলে বিতর্কের সৃষ্টি হতে পারে। আমরা সরকারের কাজে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। নির্বাচন না হলে এই জামিনের বিষয় বিবেচনা করা হত না।’’ কেজরীওয়ালের আইনজীবী আদালতে জানান, লেফটেন্যান্ট গর্ভনর না বললে কোনও সরকারি কাজ করবেন না তাঁর মক্কেল। কোনও সরকারি ফাইলে সই করবেন না কেজরীওয়াল।
মঙ্গলবারের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ে ইডি। তদন্ত কেন ধীর গতিতে হচ্ছে, প্রশ্ন করে শীর্ষ আদালত। এই মামলায় সাক্ষী এবং অভিযুক্তদের জেরা করতে কেন এত সময় নিল ইডি, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট। সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর কোনও নির্দেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট।