Param Bir Singh

বিরক্তিকর পরিস্থিতি: পরমবীর মামলায় কোর্ট

মুকেশ অম্বানীর বাড়ির কাছ থেকে বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি উদ্ধারের ঘটনার তদন্তে অনিয়মের জেরে মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনার পদ থেকে সরানো হয় পরমবীরকে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২২ ০৭:২০
Share:

মুম্বই পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার পরমবীর সিংহ ফাইল চিত্র।

মুম্বই পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার পরমবীর সিংহের নিজের বাহিনীর উপরেই ভরসা নেই। আবার সিবিআইয়ের উপরে ভরসা নেই মহারাষ্ট্র সরকারের। ফলে মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি ‘অত্যন্ত বিরক্তিকর’ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে আজ মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisement

মুকেশ অম্বানীর বাড়ির কাছ থেকে বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি উদ্ধারের ঘটনার তদন্তে অনিয়মের জেরে মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনার পদ থেকে সরানো হয় পরমবীরকে। ওই ঘটনায় গ্রেফতার হন মুম্বই পুলিশের অফিসার সচিন ওয়াজ়ে। তার পরেই রাজ্যের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ আনেন পরমবীর। পাল্টা তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের করে মহারাষ্ট্র সরকার।

সিবিআই পরমবীরের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তের ভার নিতে প্রস্তুত। কিন্তু মহারাষ্ট্রের শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি জোট সরকার সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে এসেছে। এ দিনও পরমবীরের আইনজীবী পুনীত বালি সুপ্রিম কোর্টে জানান, তাঁর মক্কেলকে মুম্বই পুলিশ ‘কোণঠাসা’ করার চেষ্টা করছে। কিন্তু পরমবীরের গ্রেফতারি থেকে রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়ায়নি শীর্ষ আদালত। বিচারপতি এস কে কউল ও বিচারপতি এম এম সুন্দরেশ বলেন, ‘‘আপনি এই পুলিশ বাহিনীকেই দীর্ঘদিন ধরে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সেই বাহিনীর উপরেই আপনার আস্থা নেই? মহারাষ্ট্র সরকারের আস্থা নেই সিবিআইয়ের উপরে। চিত্রটা কেমন দাঁড়াচ্ছে অনুমান করতে পারছেন? বিষয়টি খুবই বিরক্তিকর। শান্তিপূর্ণ ভাবে এর সমাধান করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।’’ বিচারপতিদের বক্তব্য, ‘‘সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা করে বম্বে হাই কোর্টে মামলা করেছিল মহারাষ্ট্র সরকার। সেখানে হেরে তারা সুপ্রিম কোর্টে এসেছে। আমরা জানি না সেই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের মত কী হবে। তবে আপনাকে আমরা অনেক দিন সুরক্ষা দিয়েছি। আর সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়।’’

Advertisement

সিবিআইয়ের আইনজীবী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, মহারাষ্ট্র সরকার সিবিআই তদন্তে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করতে পারে। বিচারপতিরা বলেন, ‘‘এই বিষয়ে কেউই একে অপরের চেয়ে ভাল নয়। যখন গোলমাল হয় না তখন সবাই একে অপরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চলে। গোলমাল হলেই একে অপরের বিরুদ্ধে সরব হয়।’’ ২২ ফেব্রুয়ারি ফের এই মামলার শুনানি হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement