প্রতীকী ছবি।
সরকারি চাকরিতে তফসিলি জাতি, জনজাতিদের পদোন্নতিতে সংরক্ষণের ব্যাপারে নতুন কোনও মাপকাঠি তৈরিতে রাজি হল না সুপ্রিম কোর্ট। আজ শীর্ষ আদালত স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছে, এ বিষয়ে তারা কোনও মাপকাঠি তৈরি করবে না। কেন সরকারি পদে তফসিলি জাতি, জনজাতিদের প্রতিনিধিত্ব যথেষ্ট নয়, সে বিষয়ে রাজ্যগুলিকে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। এটা সরকারের দায়িত্ব।
সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি নাগেশ্বর রাও, বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বি আর গাভির বেঞ্চ জানিয়েছে, সরকারি চাকরিতে তফসিলি জাতি, জনজাতিদের পদোন্নতির ব্যাপারে পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনা করতে হবে। এ ছাড়াও এ ব্যাপারে যথেষ্ট তথ্য সংগ্রহ বাধ্যতামূলক। পর্যালোচনার সময়কাল কেন্দ্র নির্ধারণ করবে। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, পদোন্নতির ক্ষেত্রে সংরক্ষণের ব্যাপারে তারা নতুন কোনও মাপকাঠি স্থির করতে পারবে না। বেঞ্চ বলেছে, সংরক্ষণ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা উচিত ক্যাডার ভিত্তিক শূন্যপদের ভিত্তিতে। সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে রাজ্যগুলি যেন অবশ্যই পর্যালোচনা প্রক্রিয়া চালায় ।
কেন্দ্র শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছিল, পদোন্নতিতে সংরক্ষণ কার্যকর করার ক্ষেত্রে তফসিলি জাতি ও জনজাতি তালিকাভুক্তদের প্রতিনিধিত্ব নির্ধারণ করতে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির সংখ্যাতত্ত্বমূলক পরিসংখ্যান সংগ্রহের ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হোক। কিন্তু আদালত তাতে রাজি হয়নি। কোর্ট বলেছে, প্রশাসনের প্রতিটি স্তরের পদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের কত শতাংশ সরকারি পদে রয়েছে, তা জানার পরে কেন্দ্রকে সংরক্ষণ নীতি খতিয়ে দেখে সময়সীমা স্থির করতে হবে।