ফাইল ছবি
সময় নষ্ট না করে করোনায় মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে আজ নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারে কোনও ক্ষেত্রে যদি অসুবিধা বা পদ্ধতিগত সমস্যা থেকে থাকে তা হলে তা দ্রুত সমাধান করা হোক। গত চার দিন ধরে দেশে করোনা সংক্রমণ ২০ হাজারের উপরে থাকলেও গত ২৪ ঘণ্টায় সেই সংখ্যা কমে ১৭ হাজারের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে দেশে ৫১ জন কোভিড আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। করোনা সংক্রমণের পাশাপাশি, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মাঙ্কিপক্স। দেশে দ্বিতীয় মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের হদিস মিলেছে কেরলে। এর পরেই বিদেশ থেকে ভারতে আসা যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিষয়টি খতিয়ে দেখে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
করোনায় মৃত ব্যক্তির পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া সংক্রান্ত একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি এম আর শাহ এবং বিচারপতি বি ভি নাগরত্নের বেঞ্চ জানিয়েছে, কোনও দাবিদারের ক্ষতিপূরণ না মিললে অথবা দাবি খারিজ হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নিষ্পত্তিকরণ কমিটিতে যেতে পারেন। চার সপ্তাহের মধ্যে আবেদনকারীর দাবির মীমাংসা করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতিরা।
অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এসডিআরএফ) থেকে পার্সোনাল ডিপোজ়িট অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করেছে বলে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, সেই ব্যাপারে আদালতের নির্দেশ, দু’দিনের মধ্যে সেই অর্থ বাহিনীর অ্যাকাউন্টে পাঠাতে হবে। বেঞ্চ বলেছে, ‘‘সব রাজ্যকে দেখতে বলা হচ্ছে, যেন কোনও সময় নষ্ট না করে বৈধ লোকজনকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আগেকার নির্দেশ পালিত হয়। কোনও দাবিদারের কোনওরকমের অসন্তোষ থাকলে, তিনি সংশ্লিষ্ট নিষ্পত্তিকরণ কমিটির দ্বারস্থ হতে পারেন।’’
গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক সংক্রমণ সামান্য কমলেও দৈনন্দিন পজ়িটিভিটি রেট ১৬১ দিন পরে ছ’শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছে। যত জনের করোনা পরীক্ষা করা হল, তাঁদের মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজ়িটিভ তাকেই পজ়িটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার বলা হয়।
করোনা সংক্রমণের মধ্যেই দেশে আরও এক জনের মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। কেরলের কন্নুর জেলায় এক জনের শরীরে এই ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে বলে ওই রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে। কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানিয়েছেন, দুবাই থেকে ফেরা ৩১ বছর বয়সি এক যুবক মাঙ্কিপক্সে সংক্রমিত হয়েছেন। গত সপ্তাহে তিনি দুবাই থেকে কেরলে ফেরেন। বর্তমানে ওই যুবক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। ওই যুবকের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সম্প্রতি কেরলেই দেশের প্রথম মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যায়।