দু’টি বিষয় আলোচনা করবে শীর্ষ আদালত। —ফাইল চিত্র।
দুর্নীতির অভিযোগে স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ পরীক্ষা গোটাটাই বাতিল হবে? না কি যাঁরা ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের চিহ্নিত করা সম্ভব? স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় সুপ্রিম কোর্ট শুধু এইটুকু প্রশ্নের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে বলে আজ প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না জানিয়ে দিলেন।
কলকাতা হাই কোর্ট স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর নিয়োগ বাতিল করে দিয়েছিল। গত মে মাসে সুপ্রিম কোর্টের তদানীন্তন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ তাতে স্থগিতাদেশ দিয়ে জানিয়েছিল, আপাতত কারও চাকরি যাচ্ছে না। আজ বর্তমান প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। বিভিন্ন পক্ষের আইনজীবীদের ভিড় দেখে অবাক প্রধান বিচারপতি জানান, আগামী বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে এই মামলার শুনানি হবে। তবে সুপ্রিম কোর্ট শুধুমাত্র এইটুকু প্রশ্নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে— গোটা পরীক্ষা বাতিল করা হবে, না কি দুর্নীতি করে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের চিহ্নিত করা যাবে? আইনজীবীদের এইটুকু বিষয়েই সওয়াল করতে হবে। না হলে থামিয়ে দেওয়া হবে।
গত মে মাসে সুপ্রিম কোর্ট স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি বা ‘প্রাতিষ্ঠানিক প্রতারণা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। কেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওএমআর শিট সংক্রান্ত তথ্য একটি বেসরকারি সংস্থা নাইসা-র হাত থেকে অন্য বেসরকারি সংস্থা ডেটা স্ক্যানটেকের হাতে চলে গেল, কেন ওএমআর শিট সংক্রান্ত নথি নষ্ট করে ফেলা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল শীর্ষ আদালত।আজ দুর্নীতির ফলে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী ঋজু ঘোষাল প্রাতিষ্ঠানিক প্রতারণার উল্লেখ করলেও সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এর মধ্যে তাঁরা ঢুকবেন না। হাই কোর্টের রায় বলবৎ হলে যাঁদের চাকরি যাওয়ার আশঙ্কা, তাঁদের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সাক্ষ্য আইনের একটি প্রশ্ন এই মামলায় জড়িত রয়েছে। প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, এই বিষয়েও আপাতত তাঁরা মাথা ঘামাবেন না।