সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিযোগিতার মধ্যে ঢুকতে চায় না সুপ্রিম কোর্ট, কিন্তু টেলিভিশন সংবাদ চ্যানেলগুলির আত্মনিয়ন্ত্রণ আরও কঠোর হওয়া উচিত এ বিষয়ে তাদের সন্দেহ নেই। সোমবার কার্যত এই ভাষাতেই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।
এ দিনের শুনানিতে নিউজ় ব্রডকাস্টার্স ফেডারেশন (এনবিএফ) এবং নিউজ় ব্রডকাস্টার্স অ্যান্ড ডিজিটাল অ্যাসোসিয়েশন (এনবিডিএ) নিজেদের মধ্যে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ে। সেই আবহেই মৌখিক ভাবে নিজেদের অবস্থান জানায় শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চে অন্য দুই বিচারপতি ছিলেন, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্র।
এনবিএফ-এর তরফে আইনজীবী মহেশ জেঠমলানী সওয়াল করেন, ২০২১-এর তথ্যপ্রযুক্তি আইন অনুসারে এনবিএফ-ই নথিভুক্ত সংস্থা, এনবিডিএ তা নয়। তার পরেই বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘আপনাদের দুই সংস্থার মধ্যে আদর্শগত পার্থক্যের মীমাংসা আমরা করতে পারব না। প্রতিদ্বন্দ্বী দুই সংস্থার কলহের মধ্যে আসল বিষয়টা হারিয়ে যাক, এটাও আমরা চাই না।’’
এর আগে সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে টিভি চ্যানেলগুলি বিচারসভা বসিয়েছে বলে অভিযোগ করে জনস্বার্থ মামলা হয় বম্বে হাই কোর্টে। ২০২১ সালে হাই কোর্ট যে সমালোচনামূলক রায় দেয়, তারই বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় এনবিডিএ। আগের দিনের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টও বলেছিল, এনবিডিএ-র তৈরি আত্মনিয়ন্ত্রণবিধি কার্যকর হয়নি ও নিউজ় ব্রডকাস্টার্স অ্যান্ড ডিজিটাল স্ট্যান্ডার্ড অথরিটির (এনবিডিএসএ) জরিমানাবিধি প্রতিরোধক ভূমিকা নিতে পারেনি। এনবিডিএ-র আইনজীবী অরবিন্দ দাতার আজ বলেন, এনবিডিএ-কে নতুন নির্দেশিকা তৈরির জন্য আরও সময় দেওয়া হোক। সুপ্রিম কোর্টেরই দুই প্রাক্তন বিচারপতির সঙ্গে তাঁরা আলোচনা চালাচ্ছেন বলেও জানান দাতার।