—প্রতীকী চিত্র।
রাজনীতিতে এসে অল্পেই রেগে গেলে বা অভিমানী হলে চলবে না। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী এল মুরুগানের বিরুদ্ধে ওঠা এক মানহানির মামলার শুনানিতে এই মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার মামলাটির শুনানি ছিল বিচারপতি বি আর গভই ও বিচারপতি কে ভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে। মামলার শুনানির একটি পর্যায়ে মন্ত্রীর আইনজীবী প্রশ্ন করেন, এই মামলায় মানহানির প্রশ্নটি উঠছে কোথায়? উত্তর দেওয়ার জন্য অভিযোগকারী সংস্থার পক্ষের আইনজীবী আরও কিছুটা সময় চান। তাঁর অনুরোধে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ চার সপ্তাহ সময় দেয়। একইসঙ্গে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, “রাজনীতিতে অল্পেই রেগে গেলে চলে না।”
মানহানির মামলা খারিজ করার আবেদন নিয়ে প্রথমে মুরুগান মাদ্রাজ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল হাই কোর্ট। পরে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি নেতা। মামলা গ্রহণ করতে রাজি হয় শীর্ষ আদালত। মামলাটি তখন চেন্নাইয়ের এক আদালতে বিচারাধীন ছিল। শীর্ষ আদালত মামলাটি গ্রহণের পর মুরুগানের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের উপর স্থগিতাদেশ জারি করা হয়। অভিযোগকারী পক্ষের বক্তব্য জানতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার মামলাটির শুনানি ছিল শীর্ষ আদালতে। সেই সময়েই পর্যবেক্ষণে এ কথা জানায় দুই বিচারপতির বেঞ্চ।
প্রসঙ্গত, এর আগে হাই কোর্ট মুরুগানের আবেদন খারিজ করার সময় জানিয়েছিল, ওই বিতর্কিত মন্তব্যের মাধ্যমে মামলাকারী সংস্থাকে বদনাম করার গোপন অভিপ্রায় থাকতে পারে। শুধু তাই নয়, নিম্ন আদালতকে তিন মাসের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করারও নির্দেশ দিয়েছিল মাদ্রাজ হাই কোর্ট। যদিও পরে সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি যাওয়ার পর সেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি হয়।