প্রদর্শনীতে লুটপাট হচ্ছে মাছ। ছবি: সংগৃহীত।
বিহারে সরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন দফতর প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিল। সেই প্রদর্শনীতে হস্ত ও কুটির শিল্প যেমন ছিল, তেমনই মৎস্য দফতরও প্রদর্শনীর জন্য জ্যান্ত মাছ এনে রেখেছিল। বায়োফ্লক ট্যাঙ্কে জলের মধ্যে নানা আকারের বিভিন্ন রকম মাছ ছিল। প্রদর্শনীতে প্রচুর মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার প্রদর্শনীতে আসছেন শুনে ভিড় অনেক বেশি হয়েছিল।
জানা গিয়েছে, সহরসাতে সরকারি উদ্যোগে ওই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ প্রথমে দিওয়ারিতে একটি মন্দির উদ্বোধন করেন। তার পর অমরপুরে অনুষ্ঠিত হওয়া ওই প্রদর্শনীতে যান। মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে এমনিতেই ভিড় বেশি হয়েছিল। তিনি আসছেন বলে নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন। বেশ কিছু ক্ষণ সময় কাটিয়ে তার পর সেখান থেকে চলে যান। মুখ্যমন্ত্রী চলে যেতেই মৎস্য দফতরের প্রদর্শনীর সামনে ভিড় জমান মানুষজন। সেখানে বায়োফ্লক ট্যাঙ্কের মধ্যে বড় বাড় আকারের রুই, কাতলা-সহ নানা প্রজাতির মাছ ছিল।
আচমকাই সেই মাছ লুটপাট শুরু করে দেয় জনতা। ট্যাঙ্কের জলের মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে যে যে রকম পেরেছেন মাছ লুটপাট করেছেন। একটি বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মেলায় আসা অল্পবয়সি ছেলেমেয়েরাই লুটপাট চালিয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েক জন আবার দাবি করেছেন, মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে প্রদর্শনীতে আসেনি, তারা এসেছিল মাছ নিতেই। এমন একটি অনভিপ্রেত ঘটনায় স্তম্ভিত মৎস্য দফতরও। মৎস্য দফতরের এক আধিকারিক সুবোধ কুমার জানিয়েছেন, মাছ লুট করতে হামলে পড়েছিল জনতা। ৪৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।