শুনানি শুধু ধর্মের নামে ভোট নিয়ে, বলল সুপ্রিম কোর্ট

হিন্দুত্ব নিয়ে ১৯৯৫ সালের রায় আর খতিয়ে দেখা হবে না বলে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি টি এস ঠাকুরের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়েছে, প্রার্থীদের হয়ে ধর্মীয় নেতাদের ভোট চাওয়া আইনসিদ্ধ কিনা, কেবল সেই বিষয়টি নিয়েই এখন শুনানি হচ্ছে। ১৯৯০ সালে মহারাষ্ট্রের ভোটে হিন্দুত্ব ও হিন্দু রাষ্ট্র নিয়ে প্রচার করেছিলেন প্রয়াত বালসাহেব ঠাকরে ও প্রমোদ মহাজন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৬ ০৩:০৯
Share:

হিন্দুত্ব নিয়ে ১৯৯৫ সালের রায় আর খতিয়ে দেখা হবে না বলে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি টি এস ঠাকুরের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়েছে, প্রার্থীদের হয়ে ধর্মীয় নেতাদের ভোট চাওয়া আইনসিদ্ধ কিনা, কেবল সেই বিষয়টি নিয়েই এখন শুনানি হচ্ছে।

Advertisement

১৯৯০ সালে মহারাষ্ট্রের ভোটে হিন্দুত্ব ও হিন্দু রাষ্ট্র নিয়ে প্রচার করেছিলেন প্রয়াত বালসাহেব ঠাকরে ও প্রমোদ মহাজন। ধর্মের নামে ভোট চাওয়ার অভিযোগে বিজেপি ও শিবসেনার কয়েক জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা হয়। সেই মামলার শুনানি চলছে শীর্ষ আদালতে। মামলার পরিধি কিছুটা বাড়িয়েছে শীর্ষ আদালত। ধর্মীয় নেতারা প্রার্থীদের হয়ে ভোট চাইলে তা জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ভাঙার সামিল কিনা, সেই প্রশ্ন তুলেছে বেঞ্চ।
এরই মধ্যে মামলায় অংশ নিতে চেয়ে একটি আর্জি পেশ করেন সমাজকর্মী তিস্তা শেতলওয়াড়। হিন্দুত্বের সংজ্ঞা বদলে নির্বাচনী প্রচারে ওই শব্দের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার আবেদন জানান তিনি। ১৯৯৫ সালে সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে জানায়, হিন্দুত্ব জীবনযাত্রার এক প্রণালী। ফলে নির্বাচনে ওই শব্দ ব্যবহারের উপরে কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। তিস্তার আবেদনের ফলে হিন্দুত্ব রায় পুনর্বিবেচনা করার সম্ভাবনা দেখা দেয়।

কিন্তু আজ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়েছে, হিন্দুত্ব বলতে হিন্দু ধর্ম কিনা সেই বিষয়টি নিয়ে এখন শুনানি হবে না। এখন কেবল ধর্মীয় নেতাদের একাংশের সঙ্গে প্রার্থীদের আঁতাঁতের বিষয়টি খতিয়ে দেখবে সুপ্রিম কোর্ট। বেঞ্চের মতে, ভারতে ধর্মের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক থাকা উচিত নয়। ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শের ভিত্তিতে ভোট চাওয়া উচিত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement