ইডি মামলায় শীর্ষ আদালতের রক্ষাকবচ পেলেন না পি চিদম্বরম। ফাইল চিত্র
আইএনএক্স মিডিয়া আর্থিক দুর্নীতি মামলায় পি চিদম্বরমের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে তাঁকে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) সামনে আর কোনও বাধা রইল না। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, ইডি-র মামলায় তাঁকে গ্রেফতারির বিরুদ্ধে কোনও রক্ষাকবচ দেওয়া হবে না।
গত ১৫ দিন ধরে আইএনএক্স মামলায় সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন পি চিদাম্বরম। একই সময় তাঁকে এই একই ঘটনায় অর্থ তছরুপ সংক্রান্ত বিষয়ে গ্রেফতার করতে উদ্যত হয় ইডি-ও। সেই গ্রেফতারি এড়াতেই দিল্লি হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে অন্তর্বর্তী জামিনের জন্যে আবেদন জানিয়ে ছিলেন চিদম্বরম। এ দিন বিচারপতি আর ভানুমতী ও এএস বোপান্নার বেঞ্চ এই আবেদন খারিজ করে দেন। আদালতের যুক্তি, এই মামলা অন্তর্বর্তী জামিনের যোগ্য নয়। এখন জামিন দেওয়া হলে তদন্তের স্বার্থ ক্ষুন্ন হবে।
এ দিন শুনানি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়, ‘‘আর্থিক দুর্নীতির মামলায় অন্তর্বর্তিকালীন জামিন খুব বিরল ক্ষেত্র ছাড়া দেওয়া যায় না। সমস্ত পরিস্থিতি যাচাই করেই এই মামলায় এই জামিন অনুমোদন করা সম্ভব হচ্ছে না।’’
আরও পড়ুন:নতুন আইনে দাউদ-মাসুদকে জঙ্গি তকমা
আরও পড়ুন:মুম্বইয়ের বহুতলে ‘জলপ্রপাত’! কী করে তৈরি হল জানেন?
আইএনএক্স মিডিয়ায় বিদেশি বিনিয়োগে অসঙ্গতির মামলায় গত ২১ অগস্ট রাতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে সিবিআই-এর সদর কার্যালয়ের সুটে ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। দফায় দফায় তাঁর সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ বাড়িয়েছে বিশেষ সিবিআই আদালত। ৩ সেপ্টেম্বর সিবিআই তাঁকে আদালতে পেশ করলে হেফাজতের মেয়াদ ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেড়েছিল। এই অবস্থায় সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ বাড়লে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীকে তিহাড় জেলে পাঠানো হতে পারে এই আশঙ্কায় আদালতে বিশেষ আবেদন জানিয়েছিলেন চিদম্বরমের আইনজীবীরা। এর পাশাপাশিই প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর মাথায় ঝুলছিল ইডির খাঁড়া। শুধু আইএনএক্সই নয়, এয়ারসেল-ম্যাক্সিস কেলেঙ্কারির শুনানিও এ দিন সন্ধেয় হতে পারে।
চিদম্বরমের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী থাকার সময় ২০০৭ সালে বিদেশ থেকে ৩০৫ কোটি টাকার তহবিল পাওয়ার জন্য আইএনএক্স মিডিয়াকে ছাড়পত্র দিয়েছিলেন তিনি। বিনিময়ে তাঁর ছেলে কার্তি চিদম্বরমের সংস্থাকে বড় অঙ্কের ঘুষ দেয় আইএনএক্স মিডিয়া। যদিও চিদম্বরম ও তাঁর ছেলে কার্তি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।