—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
সমকামী, রূপান্তরকামী এবং যৌনকর্মীদের রক্তদানে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলাতেই এ বার কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিস দিল শীর্ষ আদালত। এই ধরনের নির্দেশিকা কেন দেওয়া হয়েছে, সরকারের কাছ থেকে তার ব্যাখ্যা চেয়েছে আদালত।
বিতর্কের সূত্রপাত ২০১৭ সালের একটি সরকারি নির্দেশিকা নিয়ে। সে সময়ে রক্তদান সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা দিয়েছিল কেন্দ্র। সেখানে বলা হয়েছিল, রূপান্তরকামী, সমকামী পুরুষ এবং মহিলা যৌনকর্মীরা রক্তদান করতে পারবেন না। রক্তদানে উপযুক্তদের তালিকা থেকে তাঁদের বাদ দেওয়া হয়েছিল। কারণ হিসাবে রক্তে সংক্রমণের সম্ভাবনাকে তুলে ধরা হয়েছিল। সরকারি ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, রূপান্তরকামী, সমকামী পুরুষ এবং যৌনকর্মীদের রক্ত থেকে যৌনরোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা থেকে যায়। সমকামী পুরুষ অর্থে পুরুষের সঙ্গে পুরুষের যৌন সম্পর্ক স্থাপনের (এমএসএম) উল্লেখ করা হয়েছিল ওই নির্দেশিকায়। এই তিন গোষ্ঠীর মানুষ কখনও রক্ত দিতে পারবেন না বলে জানানো হয় কেন্দ্রের নির্দেশিকায়।
এই নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সমাজকর্মী তথা সাংবাদিক শরীফ ডি রঙ্গনেকার সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন। শুক্রবার সেই মামলাটি শুনানির জন্য শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে উঠেছিল। মামলাকারী দাবি করেন, সমকামী পুরুষ এবং রূপান্তরকামীদের নিয়ে প্রাচীন এবং অবাস্তব ধারণা থেকে এই ধরনের নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ১৯৮০-র দশকে আমেরিকায় প্রচলিত ভাবনা দ্বারা এই ভাবনা প্রভাবিত বলেও উল্লেখ করা হয়। বিচারপতি এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিস দিয়েছে। সেই সঙ্গে ন্যাশনাল এডস কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশন এবং ন্যাশনাল ব্লাড ট্রান্সফিউশন কাউন্সিলকেও নোটিস দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শীর্ষ আদালতকে জানাতে হবে।