সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল চিত্র।
কলকাতা হাই কোর্ট কোনও স্থগিতাদেশ না-দেওয়ার নিয়োগের জন্য কাউন্সেলিং শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্ত স্কুলে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং স্কুলের ‘গ্রুপ সি’ বা তৃতীয় শ্রেণির কর্মী-পদে নতুন নিয়োগে শুক্রবার স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত একই সঙ্গে স্কুলে অতিরিক্ত পদ তৈরির মামলাতেও নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্য সরকার অতিরিক্ত পদ তৈরি করে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি দেওয়ার কথা বলেছিল। সেই প্রস্তাব খারিজ করে কে বা কারা ওই প্রস্তাব দিয়েছেন, তা নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। সেই তদন্তের উপরে আগেই স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত। এ দিন তারা সেই স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছে।
কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ৮৪২ জন শিক্ষাকর্মীর চাকরি গিয়েছে। সেই সব শূন্য পদে প্রতীক্ষা-তালিকা থেকে নিয়োগের ব্যাপারে হাই কোর্টের কোনও স্থগিতাদেশ না-থাকায় এসএসসি বা স্কুল সার্ভিস কমিশন নতুন নিয়োগের কাউন্সেলিং শুরু করে দিয়েছিল। একই ভাবে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের ক্ষেত্রেও কাউন্সেলিংয়ে স্থগিতাদেশ ছিল না। দুই ক্ষেত্রেই চাকরিচ্যুত প্রার্থীরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এ দিন দুই ক্ষেত্রেই নতুন নিয়োগে কাউন্সেলিংয়ের উপরে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। চাকরিচ্যুতদের আইনজীবী পার্থ শীল বলেন, ‘‘২৯ মার্চ পরবর্তী শুনানি হবে বলে স্থির হয়েছে।’’
সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্ট যে স্থগিতাদেশ দিতে পারে, তা আঁচ করেছিলেন এসএসসি-র অনেকে। এ দিন শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পরে এসএসসি-কর্তারা জানান, ১০০ জনকে বৃহস্পতিবার কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হয়েছিল। এসেছিলেন ৫০ জন। তবে এর পরে স্থগিতাদেশ ওঠার আগে কাউকে ডাকা হবে না।
অতিরিক্ত পদ তৈরি নিয়ে হাই কোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার এবং এসএসসি। তাতে স্থগিতাদেশও পায় রাজ্য। কর্মপ্রার্থীদের তরফে বলা হয়েছিল, এই ব্যাপারে সিবিআইয়ের রিপোর্ট কোর্টে পেশ করা হোক। এ দিন এসএসসি-র তরফে আইনজীবী কুণাল চট্টোপাধ্যায় সিবিআই তদন্তের বিরুদ্ধে সওয়াল করেন। সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি ভি রামসুব্রহ্মনিয়নের বেঞ্চ স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছে।