এনআরসি প্রশ্নে কাঠগড়ায় হাজেলা

কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে ২০ ও বাকি জেলায় ১০ শতাংশ নাম ফের যাচাইয়ের আবেদন জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৯ ০১:৫৬
Share:

—ফাইল চিত্র।

এনআরসি নিয়ে অসম সরকার ও রাজ্যের বিভিন্ন মহলের সমালোচনার মুখে পড়লেন কো-অর্ডিনেটর প্রতীক হাজেলা। এনআরসি বিষয়ে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের দেওয়া তথ্যে নয়, সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ প্রতীক হাজেলার দেওয়া তথ্যেই আস্থা রেখেছেন। অথচ তাঁর জমা দেওয়া কোনও রিপোর্ট রাজ্য বা কেন্দ্র হাতে পাচ্ছে না। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে ২০ ও বাকি জেলায় ১০ শতাংশ নাম ফের যাচাইয়ের আবেদন জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু আদালতে হাজেলা জানান, ইতিমধ্যেই তিনি ২৭ শতাংশ যাচাই করে ফেলেছেন। ফলে খসড়া পুনর্মূল্যায়ণের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। তাতে হাজেলার উপরে বেজায় ক্ষিপ্ত রাজ্য সরকার তথা বিজেপি।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রীর আইনি উপদেষ্টা শান্তনু ভরালি আজ বলেন, ‘‘যদি পুনর্মূল্যায়ণই না হয়, তাহলে খামোকা দিন পিছিয়ে কী লাভ! এই এনআরসি শুদ্ধ, এমন কথা একজন অসমবাসীও মনে করেন না।’’ তাঁর বক্তব্য, অনেক বিদেশির নাম এতে ঢুকে রয়েছে। বিজেপি সাংসদ দিলীপ শইকিয়া বলেন, ‘‘হাজেলার কাজে আমরা মোটেই সন্তুষ্ট নই। দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মীদের হাত ধরে অনেক অবৈধ ব্যক্তির নাম তালিকায় ঢুকেছে বলে রাজ্য নিশ্চিত। তাই আরও একবার তালিকা যাচাই দরকার ছিল। বিজেপি সাংসদের মতে, সুপ্রিম কোর্টে সরাসরি রাজ্যের দাবি উড়িয়ে হাজেলা ভাল করেননি।

এনআরসি মামলার মূল আবেদনকারী আসাম পাবলিক ওয়ার্কসের অভিজিৎ শইকিয়া ২২ জেলায় ১০০ শতাংশ পুনর্মূল্যায়ণের আর্জি জানিয়েছিলেন। তাঁর মতে, ‘‘হাজেলা ২৭ শতাংশ পুনর্মূল্যায়নের দাবি করলেও তা আদপে কবে, কী ভাবে হয়েছে কেউ জানে না।’’ সচেতন নাগরিক মঞ্চের তরফে রাজ্যের ২৫ লক্ষ মানুষের সই-সহ ‘শুদ্ধ এনআরসি’-র দাবিতে রাষ্ট্রপতিকে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছিল। তাদের মতে, ‘‘খসড়া যাচাই না করা খুবই বিপজ্জনক হল। অবশ্য, আসু ও আমসু আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগতই জানিয়েছে।

Advertisement

এ দিকে, অসম চুক্তির ৬ নম্বর ধারা রূপায়ণের উদ্দেশে কেন্দ্র-গঠিত কমিটি আজ প্রথমবার মিলিত হল। ১৩ সদস্যের ওই কমিটির মাথায় রয়েছেন গৌহাটি হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বিপ্লব শর্মা। অসমিয়দের সাংবিধানিক, আইনি, প্রশাসনিক রক্ষাকবচ, সংস্কৃতি, ভাষাগত স্বাতন্ত্র্য ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে এই ধারায়। কমিটি বিভিন্ন সংগঠন, আইনজ্ঞ, সংবিধান বিশেষজ্ঞ, সাহিত্য-শিল্প-সংস্কৃতি ক্ষেত্রের ব্যক্তিত্ব, অর্থনীতিবিদ, ভাষাবিদ, সমাজবিদদের মতামত নেবে।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement