—প্রতীকী চিত্র।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে গবেষণার প্রবেশিকা পরীক্ষা ইউজিসি-নেট বাতিলের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক আইনজীবী। সেই মামলা গ্রহণ করেনি আদালত। বলা হয়েছে, পরীক্ষা বাতিল নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা যদি মামলা করেন, তখন বিষয়টি ভেবে দেখা হবে। মামলার গুরুত্ব নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চে নেট সংক্রান্ত মামলাটির আবেদন করা হয়েছিল। মামলাটি গ্রহণ করা হচ্ছে না বলে জানিয়ে দেন বিচারপতি। সেই সঙ্গে মামলাকারী আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘আপনি কেন এসেছেন? ছাত্রছাত্রীদের নিজেদের এখানে আসতে দিন। আমরা মামলার গুরুত্ব নিয়ে কিছু বলছি না।’’ মামলাকারী আইনজীবীকে অন্য কোনও আইনি বিষয়ে মন দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতি। এই ধরনের বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরই ভাবতে দিতে বলেছেন তিনি।
গত ১৯ জুন ইউজিসি-নেট বাতিল ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। তার আগেই অবশ্য এই পরীক্ষার আয়োজন সংস্থা এনটিআইয়ের কর্মপদ্ধতি এবং স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। কেন্দ্রও স্বীকার করে নিয়েছিল, এনটিআইয়ে গলদ রয়েছে। পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পরেও নেট পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করা হয়। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান জানান, নেটের প্রশ্ন পরীক্ষার আগেই ডার্কওয়েবে বেরিয়ে গিয়েছিল। তাই পরীক্ষা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিষয়টি সিবিআই খতিয়ে দেখছে। পরীক্ষাটি পরে নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
নেট বাতিলের এই সিদ্ধান্তের উপর অবিলম্বে স্থগিতাদেশের আবেদন করেছিলেন মামলাকারী। তিনি জানান, যত দিন না প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে সিবিআইয়ের তদন্ত শেষ হচ্ছে, তত দিন পরীক্ষা বাতিল স্থগিত রাখা হোক। এই সিদ্ধান্ত একটা বড় অংশের ছাত্রছাত্রীদের প্রতি অবিচার বলেও মন্তব্য করেন মামলাকারী। জানান, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের ফলে ছাত্রছাত্রীরা অত্যন্ত হতাশ হয়েছেন। ভবিষ্যৎ নিয়েও তাঁরা উদ্বিগ্ন। তবে মামলাটি আপাতত গ্রহণ করল না আদালত।