ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। ছবি: পিটিআই।
ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের জামিন খারিজের আবেদন নাকচ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। জমি দুর্নীতি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) ওই আবেদন করেছিল। অর্থাৎ বজায় রইল ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টের গত ২৮ জুনের নির্দেশই।
হেমন্ত-প্রসঙ্গে ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টের পূর্ববর্তী রায়টিকে ‘যুক্তিযুক্ত’ বলেই মনে করছে শীর্ষ আদালত। অতএব, সোমবার শুনানির পরেও বহাল রইল হেমন্তের জামিন।
জেএমএম (ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা) প্রতিষ্ঠাতা শিবু সোরেনের পুত্র হেমন্তের জামিন প্রসঙ্গে সোমবার ইডির পক্ষের আইনজীবীর যুক্তি ছিল, জামিনে ছাড়া পেয়ে পুনরায় একই অপরাধ করতে পারেন হেমন্ত। যদিও হেমন্তের আইনজীবী বলেন, তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ জানুয়ারি ঝাড়খণ্ডে জমি দুর্নীতি সংক্রান্ত বেআইনি লেনদেনের মামলায় জেএমএম নেতা হেমন্তকে গ্রেফতার করেছিল তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। গ্রেফতারির আগে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। গত ১৩ মে ‘বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইন’ (পিএমএলএ) সংক্রান্ত রাঁচীর বিশেষ আদালত হেমন্তের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। এর পরেই ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টে জামিনের আবেদন জানান তিনি।
অবশেষে গত ২৮ জুন হাই কোর্টে জামিনের আবেদন মঞ্জুর হওয়ায় প্রায় পাঁচ মাস পরে জামিনে মুক্তি পান জেলবন্দি হেমন্ত। প্রসঙ্গত, রাঁচীতে ৮.৮৬ একর জমির মালিকানা সংক্রান্ত টাকা তছরুপের মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরে তাঁর জায়গায় ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন চম্পই সোরেন। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরে গত ৪ জুলাই জেএমএম নেতা হেমন্ত ফের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন। এর পরেই হেমন্তের জামিন বাতিল করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি।