রাজধানী অঞ্চলে কি সারা বছরের জন্য নিষিদ্ধ হবে বাজি? —ফাইল চিত্র।
দিল্লি এবং রাজধানী অঞ্চলের রাজ্যগুলিকে বছরভর বাজি নিষিদ্ধকরণের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বলল সুপ্রিম কোর্ট। দিল্লির দূষণ পরিস্থিতির মাঝে এর আগেও সারা বছর বাজি নিষিদ্ধ রাখার প্রসঙ্গ উঠে এসেছে শীর্ষ আদালতে। বর্তমানে দিল্লির দূষণ পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে সামনেই নববর্ষ রয়েছে। বর্ষবরণের রাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বাজি ফাটিয়ে আনন্দে মাতেন সাধারণ মানুষ। তার ঠিক আগেই দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ এবং রাজস্থান সরকারকে এই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। যদিও অক্টোবর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত দিল্লিতে বাজি ফাটানোর উপর নিষেধাজ্ঞা আগে থেকেই জারি রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহ্র বেঞ্চে দূষণ মামলার শুনানি ছিল। রাজধানী অঞ্চলে সারাবছর বাজি নিষিদ্ধ হবে কি না, সে বিষয়ে রাজ্যগুলি এখনও কেন কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে শীর্ষ আদালত। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, শুধুমাত্র বায়ুদূষণ নয়, শব্দদূষণ বন্ধ করতেও বাজি নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন। রাজধানী অঞ্চলে বাজি ফাটানোয় নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি বাজি প্রস্তুতি, মজুত রাখা, বিক্রি এবং বিতরণের উপরেই নিষেধাজ্ঞা চাইছে শীর্ষ আদালত।
দিল্লির দূষণ মামলার শুনানিতে এর আগেও সুপ্রিম কোর্ট বুঝিয়ে দিয়েছে, বাজি ফাটানো বন্ধ করতে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রয়োজন। চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করা যায় কি না, তা বিবেচনার জন্য বলেছিল রাজ্য সরকারগুলিকে। দিল্লির দূষণ পরিস্থিতির কারণে বর্তমানে কেবল উৎসবের মরসুমে (অক্টোবর থেকে জানুয়ারি) বাজির উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু সারা বছর কেন এই নিষেধাজ্ঞা নেই, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। গত মাসেই সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন করে, “কেন শুধুমাত্র অক্টোবর থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্তই বাজি তৈরি, কেনাবেচা এবং ফাটানোর উপর এই কড়াকড়ি? সারা বছর কেন কড়াকড়ি নেই? দূষণ তো সারা বছর ধরেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।”
তখন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটি জানান, উৎসবের মরসুমে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে সেই জবাবে সন্তুষ্ট হয়নি শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ সে দিন জানিয়েছিল, দূষণমুক্ত পরিবেশে বাঁচার অধিকার প্রত্যেক মানুষের মৌলিক অধিকারের অন্তর্গত।