দেশ জুড়ে ধর্ম ও লিঙ্গ নিরপেক্ষ ভাবে বিয়ের বয়স সর্বজনীন রাখার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের মতামত জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রতীকী ছবি।
মহিলা ও পুরুষের বিবাহের ন্যূনতম বয়স একই রাখার আবেদন জানিয়ে দিল্লি এবং রাজস্থান হাইকোর্টে রুজু করা মামলা স্থানান্তরণের বিষয়টি বিবেচনা করবে সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার একটি জনস্বার্থ মামলায় এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
দেশ জুড়ে ধর্ম ও লিঙ্গ নিরপেক্ষ ভাবে বিয়ের ন্যূনতম বয়স সর্বজনীন রাখার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের মতামতও জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি শরদ বোবদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ নিয়ে মঙ্গলবার কেন্দ্রকে নোটিস পাঠিয়েছে।
ধর্ম, লিঙ্গ নিরপেক্ষ ভাবে মহিলা-পুরুষের বিয়ের ন্যূনতম বয়স এক রাখার আবেদন জানিয়ে শীর্ষ আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলা রুজু করেছেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায়। দিল্লি এবং রাজস্থান হাইকোর্টে এ নিয়ে যে ২টি মামলা রুজু করা হয়েছে, তা শীর্ষ আদালতে স্থানান্তরিত করার আবেদন করেছেন তিনি। ওই মামলাগুলি শীর্ষ আদালতে স্থানান্তরিত করা যায় কি না, তা বিবেচনা করবে বেঞ্চ।
দেশের বিভিন্ন আইন অনুযায়ী, মহিলাদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে তা ২১। তবে আবেদনকারীর দাবি, এটি লিঙ্গসাম্য, ন্যায়বিচার এবং মহিলাদের মর্যাদার বিরোধী। দেশের সমস্ত নাগরিকের ক্ষেত্রেই বিয়ের বয়স এক হওয়া উচিত বলে মনে করেন আবেদনকারী। এ নিয়ে বিভিন্ন হাইকোর্টে একাধিক জনস্বার্থ মামলার রায় যাতে অসঙ্গতির সৃষ্টি না করে, সে কারণেও মামলাগুলি শীর্ষ আদালতে স্থানান্তরিত করে একত্রে রায়ের আবেদন করেছেন তিনি। আবেদনকারীর আরও দাবি, “মহিলা এবং পুরুষের বিয়ের বয়স ভিন্ন রাখার পিছনে কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। তা পুরুষতান্ত্রিক সমাজের নিয়ম অনুসরণ করে স্থির করা হয়েছে। এতে মহিলাদের প্রতি বৈষম্য করা হয় এবং তদুপরি বিশ্ব জুড়ে বিয়ের বয়স নিয়ে যা প্রচলিত রয়েছে, তার পরিপন্থী।” আবেদনকারী জানিয়েছেন, বিশ্বের ১২৫টিরও বেশি দেশে মহিলা এবং পুরুষের বিয়ের ন্যূনতম বয়স এক রাখা হয়েছে।