Collegium

বিচারপতি নিয়োগে অংশ নিতে চায় কেন্দ্রও! কলেজিয়াম নিয়ে চন্দ্রচূড়কে চিঠি আইনমন্ত্রীর

চন্দ্রচূড়কে লেখা চিঠিতে আইনমন্ত্রী জানান, কলেজিয়াম ব্যবস্থায় কেন্দ্রের প্রতিনিধিকেও যুক্ত করা উচিত। শীর্ষ এবং উচ্চ আদালতগুলির বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে সব সিদ্ধান্ত নেয় কলেজিয়াম।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:০৬
Share:

বিচারপতি নিয়োগে সরাসরি অংশ নিতে চায় কেন্দ্রও! সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে সংঘাত বাড়াচ্ছে কেন্দ্র ফাইল চিত্র।

কেন্দ্রের সঙ্গে বিচারবিভাগের টানাপড়েনের মধ্যেই আরও এক বার দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে চিঠি লিখলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। এই চিঠিতে বলা হয়েছে, কলেজিয়াম ব্যবস্থায় কেন্দ্রের প্রতিনিধিকেও যুক্ত করা উচিত। দেশের শীর্ষ আদালতের বিচারপতি এবং অন্যান্য উচ্চ আদালতের বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেয় কলেজিয়াম। দেশের প্রধান বিচারপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের ৪ প্রবীণ বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত হয় কলেজিয়াম।

Advertisement

আইনমন্ত্রী সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, এই সংক্রান্ত বিষয়ে আগে যে চিঠিগুলি পাঠানো হয়েছিল, নতুন চিঠিটি তারই ধারাবাহিকতায় দেওয়া হয়েছে। নতুন এই চিঠি দেওয়ার যুক্তিতে রিজিজু জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ বিচারপতি নিয়োগের প্রক্রিয়ায় বদল আনার কথা বলেছিল। কিন্তু ২০১৪ সালে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার সংসদে ন্যাশনাল জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কমিশন বিল এনে বিচারপতি নিয়োগের প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার যে চেষ্টা চালিয়েছিল, তাকে খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisement

কিছু দিন আগেই কলেজিয়াম ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ও। বিচারপতি নিয়োগে সরকারের ভূমিকা বাড়ানোর জন্য জোরদার সওয়াল করেছিলেন তিনি। এর আগেও কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কলেজিয়াম ব্যবস্থাকে দেশের সাংবিধানিক ব্যবস্থার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে দাবি করেছিলেন। এর পাশাপাশি তিনি গণতান্ত্রিক দেশে সরকারের কোনও ভূমিকা না রাখার জন্য কলেজিয়াম ব্যবস্থার তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। সরকারের তরফে বার বারই বলা হয়েছে, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের প্রতিনিধিরা কলেজিয়াম ব্যবস্থায় না থাকলে বিচারপতি নিয়োগে জনমতের কোনও প্রতিফলন দেখা যাবে না। সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য এই দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছে। প্রধান বিচারপতি কলেজিয়াম ব্যবস্থার পক্ষে সওয়াল করেছেন।

এ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্কও। কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, সরকার বিচারবিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা অরবিন্দ কেজরীওয়াল সরকারের এই প্রবণতাকে ‘ভয়ঙ্কর’ বলে উল্লেখ করেছেন। তার পাল্টা দিয়ে রিজিজু কেজরীওয়ালের উদ্দেশে বলেছেন, “আশা করি আপনি আদালতের নির্দেশ মেনে চলবেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement