—ফাইল চিত্র।
নিজের রায় নিজেই প্রত্যাহার করল সুপ্রিম কোর্ট। গত বছর ২০ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের রায়েই তফসিলি জাতি ও জনজাতি নির্যাতন প্রতিরোধ আইনে গ্রেফতারের শর্ত বেশ কিছুটা লঘু হয়ে গিয়েছিল। মঙ্গলবার বিচারপতি অরুণ মিশ্র, বিচারপতি এম আর শাহ আর বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের বেঞ্চ সেই রায় ফিরিয়ে নিল।
গত বছর সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে দেশ জুড়ে তফসিলি জাতি ও জনজাতিদের বহু সংগঠন প্রতিবাদে মুখর হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে সংসদে ওই আইনের সংশোধনী আনা হয়। সেই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশনও করে কেন্দ্র। আইনের অপব্যবহার এবং ভুয়ো মামলার প্রবণতা রুখতে আগের রায়ে বলা হয়েছিল, তফসিলি জাতি ও জনজাতিদের উপরে নির্যাতনের অভিযোগ এলে আগে কোনও ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসার তা খতিয়ে দেখবেন এবং তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন মামলাটি ওই আইনের ধারায় রুজু হওয়ার উপযুক্ত কি না।
আজ শীর্ষ আদালত আগের সেই অবস্থান বদলিয়ে বলল, আইনের অপব্যবহার বা ভুয়ো মামলার ঘটনা মানুষী ব্যর্থতা। এর সঙ্গে জাতপাতের সম্পর্ক নেই। বরং জাতপাতের বৈষম্য যে সমাজ থেকে দূর হয়নি, সেটাই বাস্তব। আদালতের কথায়, জাতের নামে অস্পৃশ্যতা, নির্যাতন, সামাজিক ভাবে একঘরে করার রেওয়াজ বন্ধ হয়নি। স্বাধীনতার ৭০ বছর পরেও কেন এ সব রোখা যাচ্ছে না, অ্যাটর্নি জেনারেলক কে কে বেণুগোপালকে প্রশ্ন করেছে আদালত।
এ দিন আলাদা করে ফের নিকাশি কর্মীদের কথাও উঠেছে। নিকাশি চেম্বারে নেমে কাজ করেন যাঁরা তাঁদের সুরক্ষার অভাব নিয়ে কড়া মন্তব্য করেছে কোর্ট। বলেছে, এ ভাবে মানুষকে মরণফাঁদে ঠেলা যায় না।