সোমবার সুপ্রিম কোর্টে ফের প্রশ্নের মুখে পড়ল ইডি। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
ইডি বা অন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে থাকা মামলাগুলিতে তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে অতীতে বার বার প্রশ্ন উঠেছে। সোমবার সুপ্রিম কোর্টেও প্রশ্নের মুখে পড়ল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘লাইভ ল’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, আর্থিক দুর্নীতি দমন আইনের (পিএমএলএ) আওতায় মামলাগুলিতে সাজার হার কম হওয়ার বিষয়টি ভাবাচ্ছে শীর্ষ আদালতকে। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভূয়ানের বেঞ্চে একটি পিএমএলএ মামলার শুনানি ছিল। ওই শুনানির একটি পর্যায়ে এ বিষয়ে আলোকপাত করে দুই বিচারপতির বেঞ্চ।
ইডির আইনজীবীকে বিচারপতি ওকা বলেন, “কতগুলি পিএমএলএ মামলায় শেষ পর্যন্ত শাস্তি হয়েছে এবং কতগুলি মামলা বিচার পর্যন্ত এগিয়েছে— কোনও এক দিন সেটি আপনাদের ভেবে দেখা দরকার।” সোমবার পিএমএলএ মামলায় এক অভিযুক্তের জামিনের আর্জির শুনানি ছিল শীর্ষ আদালতে। অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করেছে দুই বিচারপতির বেঞ্চ। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ২০২৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ওই অভিযুক্ত হেফাজতে রয়েছেন। নিকট ভবিষ্যতেও ওই মামলায় বিচার শুরু হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। তাই অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করেছে শীর্ষ আদালত।
পিএমএলএ আইনে সাজার হার নিয়ে এর আগেও বিভিন্ন সময়ে প্রশ্ন উঠেছে। পশ্চিমবঙ্গেরও একাধিক মামলায় ইডি তদন্ত চালাচ্ছে। সেগুলির শ্লথ গতি নিয়ে রাজনীতির পরিসরে বার বার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি পিএমএলএ মামলা নিয়ে অতীতেও প্রশ্ন তুলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। গত অগস্টে বিচারপতি ভূয়ান মৌখিক ভাবে জানিয়েছিলেন, গত ১০ বছরে পাঁচ হাজার পিএমএলএ মামলার মধ্যে মাত্র ৪০টি মামলায় সাজা হয়েছে। আপ আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়ালের বিরুদ্ধে মামলাতেও সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে মন্তব্য করেছিল। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, পিএমএলএ মামলায় অভিযোগ এবং গ্রেফতারি নিয়ে ‘বেশ কিছু প্রশ্ন উঠে আসে’। গ্রেফতারির বিষয়ে একটি নির্দিষ্ট নীতির প্রয়োজনের কথাও বলেছিল শীর্ষ আদালত।