—প্রতীকী ছবি।
হঠাৎ করেই সংসারে আর্থিক অনটন। অভাবে পড়ে টাকা ধারও নিতে হয়েছে প্রৌঢ়কে। সংসারের এমন পরিস্থিতি দেখে জ্যোতিষীর পরামর্শ নিতে গিয়েছিলেন তিনি। জ্যোতিষীর কথায়, সদ্যোজাত নাতির কারণেই নাকি সংসারে কালো ছায়া নেমেছে। এই একরত্তি নাকি ভবিষ্যতেও সংসারের দুর্ভাগ্য ডেকে আনবে। অভিযোগ, জ্যোতিষীর কথা শুনে ভয় পেয়ে একরত্তিকে জলে ডুবিয়ে খুন করেন প্রৌঢ়। মঙ্গলবার খুনের অভিযোগে প্রৌঢ়কে গ্রেফতার করেছে তামিলনাড়ু পুলিশ। ১ জুলাই পর্যন্ত তাঁকে হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত প্রৌঢ়ের নাম বীরামুথু।
পুলিশ সূত্রে খবর, এক বছর আগে বীরামুথুর কন্যা সঙ্গীতা বিয়ে করেন। সন্তানসম্ভবা হলে বাপের বাড়িতে চলে যান সঙ্গীতা। পুত্রসন্তানের জন্ম দেন তিনি। সঙ্গীতার সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর থেকেই অর্থাভাবে ভুগতে শুরু করেন বীরামুথু। লোকজনের কাছ থেকে টাকাও ধার নিতে হয় তাঁকে। সমস্যার সমাধান খুঁজতে এক জ্যোতিষীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। বাড়ির নতুন অতিথিই নাকি বীরামুথুর সংসারে অভাব ডেকে এনেছে। এমনকি, সঙ্গীতার সন্তান এমন অশুভ লগ্নে জন্ম নিয়েছে যে, ভবিষ্যতেও নাকি সংসারে দুর্ভাগ্য নিয়ে আসবে সে। এমনটাই দাবি করেন জ্যোতিষী।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জ্যোতিষীর কথায় ভয় পেয়ে এক মাসের নাতিকে জলে ডুবিয়ে খুন করেন বীরামুথু। ১৪ জুন থেকে পুত্রসন্তানকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না সঙ্গীতা। কিছু দিন পর একটি ব্যারেল থেকে শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। নাতির মৃতদেহ উদ্ধারের পর নিজেই থানায় গিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন বীরামুথু। তদন্তে নেমে সন্দেহ জাগে পুলিশের। জিজ্ঞাসাবাদের সময় বীরামুথু পরে স্বীকার করেন যে, বাড়ির সকলে যখন গভীর নিদ্রায় আচ্ছন্ন, তখন নাতিকে নিয়ে ব্যারেলের জলে ডুবিয়ে খুন করেন তিনি। খুন করার পর ব্যারেলটির মুখ ঢাকাও দিয়ে দেন তিনি। খুনের অভিযোগে বীরামুথুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১ জুলাই পর্যন্ত হেফাজতেই থাকবেন তিনি।