সুনীতা কেজরীওয়াল (বাঁ দিকে) এবং অরবিন্দ কেজরীওয়াল। —ফাইল চিত্র
দিল্লির রামলীলা ময়দানে বিরোধী জোটের মঞ্চ থেকে স্বামীর ভোট প্রতিশ্রুতি শুনিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, “অরবিন্দ কেজরীওয়াল সিংহ। তাঁকে বেশি দিন জেলে রাখা যাবে না।” তার পরের দিন আবার রাজনৈতিক মন্তব্য করতে দেখা গেল এত দিন রাজনীতির সংস্পর্শে না থাকা কেজরীওয়াল-পত্নী সুনীতাকে।
সোমবার আবগারি মামলায় কেজরীওয়ালের ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিশেষ আদালতের বিচারক। স্বামীর শুনানিতে হাজির থাকতে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে হাজির ছিলেন সুনীতা। আদালত থেকে বেরিয়ে সুনীতা কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে স্বৈরাচার চালানোর অভিযোগ তোলেন। বলেন, কেন তাঁকে (কেজরীওয়াল) জেলে পাঠানো হল? ওদের (বিজেপি) একটাই লক্ষ্য, লোকসভা ভোটের সময় তাঁকে জেলের ভিতরে রাখা।” তার পরই তাঁর সংযোজন, “দেশের মানুষ এই স্বৈরাচারের জবাব দেবেন।”
বিজেপি অবশ্য সুনীতাকে আক্রমণ করতে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ী দেবীর প্রসঙ্গ তুলেছে। একটি দুর্নীতির মামলায় আরজেডি প্রধান জেলে গেলে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেছিলেন তাঁর স্ত্রী রাবড়ী দেবী। সোমবার সুনীতাকে খোঁচা দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা হরদীপ সিংহ পুরী বলেন, “এক জন রাবড়ী দেবী তৈরি হচ্ছেন। আমি ইতিমধ্যেই তিন-চার বার বলেছি যে, রাবড়ী দেবী সামনে আসবেন। অর্থাৎ, সুনীতা কেজরীওয়াল সামনে আসবেন।” জেল থেকে কেজরীওয়ালের সরকার চালানো নিয়েও আপ প্রধানকে খোঁচা দিয়েছেন পুরী।