ছবি: পিটিআই।
সুষ্ঠু, অবাধ, স্বচ্ছ, নৈতিক নির্বাচনই বিহারে অগ্রাধিকার। আর সেখানে অবশ্যই কোভিড সুরক্ষা প্রাধান্য পাবে। সোমবার সাধারণ, পুলিশ এবং এক্সপেন্ডিচার পর্যবেক্ষকদের বৈঠকে তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। এদিনের অনলাইন বৈঠকে দেশের ১১৯টি স্থান থেকে সাধারণ, পুলিশ এবং এক্সপেন্ডিচার পর্যবেক্ষক মিলিয়ে ৭০০ জন ছিলেন। ইতিমধ্যেই বিহার বিধানসভা ভোটে দুই অবসরপ্রাপ্ত আইআরএস আধিকারিক মধু মহাজন এবং বি আর বালাকৃষ্ণনকে স্পেশাল এক্সপেন্ডিচার পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে, বিশেষ ও পুলিশ পর্যবেক্ষক হিসাবে আরও দু’এক জন আইএস বা আইপিএসকে দায়িত্ব দিতে পারে নির্বাচন সদন।
করোনা আবহে এ দিনের বৈঠকে গুরুত্ব পেয়েছে কোভিড-১৯। সেই পরিস্থিতির মধ্যেও মানুষের অংশগ্রহণ বাড়ানোই কমিশনের লক্ষ্য, তা-ও মনে করিয়ে দিয়েছেন অরোরা। তবে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে বিহারের ভোট পরিচালকদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে বন্ধু, দার্শনিক ও পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ করার জন্য এ দিনের বৈঠকে থাকা পর্যবেক্ষকদের বলেছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার।
রবিবার নির্বাচন সদন জানিয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত মধু মহাজন এবং বি আর বালাকৃষ্ণন বিহার ভোটের আর্থিক হিসেব-নিকেশের উপর নজর রাখবেন। বিহারের মুখ্য নিৰ্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন দুই পর্যবেক্ষক। ১৯৮২ ব্যাচের প্রাক্তন আইআরএস (আইটি) মহাজন ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে তামিলনাড়ু এবং কর্নাটকের স্পেশাল এক্সপেন্ডিচার পর্যবেক্ষক হিসাবে দায়িত্ব সামলেছেন। সাধারণত টাকা ছড়িয়ে ভোটারদের উপর প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে বেশি ওঠে। লোকসভা ভোটে তামিলনাড়ুর ভেলোর কেন্দ্রে বিপুল পরিমাণে নগদ উদ্ধারের কারণে ভোট বাতিল করেছিল নির্বাচন কমিশন। যা হওয়ার কথা ছিল ২০১৯ সালের এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে। সেই সময়ে রাজ্যের বাকি ৩৮টি কেন্দ্রে লোকসভা ভোট হয়েছিল। আর ভেলোরে ভোট হয় ২০১৯ সালের অগস্টে। সেই সময়ে তামিলনাড়ুর ভোটের হিসেবের নজরদারিতে ভূমিকা ছিল মহাজনের। ২০১৯ সালের মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটেও একই দায়িত্ব ছিল তাঁর উপরে। ২০১৯ সালে তেলঙ্গানার হুজুরনগরের উপনির্বাচনে স্পেশ্যাল এক্সপেন্ডিচার পর্যবেক্ষক ছিলেন ১৯৮৩ ব্যাচের প্রাক্তন আইআরএস (আইটি) বালাকৃষ্ণন।
বিহার বিধানসভা নির্বাচনকে আর্থিকভাবে ‘স্বচ্ছ’ রাখতে নানা গোয়েন্দা তথ্যের পাশাপাশি সি-ভিজিলে আসা অভিযোগকে মান্যতা দিয়ে পদক্ষেপ করবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই আইআরএস আধিকারিক। ভোটার হেল্পলাইনেও ( টোল ফ্রি নম্বর ১৯৫০) ঘুষ, মদ-নানা সামগ্রী দেওয়া নিয়ে নানা অভিযোগ আসে। ওই সব সামগ্রী দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করা হয়, তার বিষয়ে কিছু কানে এলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য বিহার সিইও এইচ আর শ্রীনিভাসার সঙ্গে কথা বলবেন এই দুই আধিকারিক। কয়েকদিন আগে বিহারের আবগারি কমিশনারকে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে কমিশন।