বিহারের নির্দল বিধায়ক সুমিত কুমার সিংহ। ছবি সৌজন্য় টুইটার।
কোনও রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় নয়, নিজের ক্যারিশমায় বিজেপি, আরেজেডি এবং জেডিইউ-র মতো হেভিওয়েট দলকে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন তিনি। আজ সেই ব্যক্তিই বিহার বিধানসভার একমাত্র নির্দলীয় বিধায়ক। তিনি সুমিত কুমার সিংহ।
সদ্য বিহারের নির্বাচন শেষ হয়েছে। ফলও ঘোষিত হয়েছে। যেখানে বিজেপি, জেডিইউ, আরজেডি-র মতো হেভিওয়েট দল পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়েছেন, সেখানে একমাত্র সুমিতই নির্দলীয় প্রার্থীদের ধ্বজাধারী হিসেবে বিধানসভায় আপাতত ৫ বছরের জন্য নিজের আসন পাকাপোক্ত করে নিয়েছেন। জামুই জেলার চাকাই কেন্দ্র থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন সুমিত। তাঁর বিরুদ্ধে ছিলেন হেভিওয়েট প্রার্থী আরজেডি-র সাবিত্রী দেবী। ৫৮১ ভোটে সাবিত্রী দেবীকে হারিয়ে দিয়েছেন সুমিত।
অন্যান্য রাজ্যের মতোই বিহারে নির্দলীয় বিধায়কের সংখ্যা ক্রমেই কমে যাচ্ছে। যে সংখ্যাটা এই নির্বাচনে এসে ঠেকেছে এক-এ। পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৬৭ সালের (অবিভক্ত বিহার) বিধানসভা নির্বাচনে ৩৩ জন বিধায়ক ছিলেন নির্দলীয়। যা এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি। লালুপ্রসাদ যাদব যখন প্রথম বার মুখ্যমন্ত্রী হন ১৯৯০ সালে, তখনও বিহার বিধানসভায় মোট বিধায়কদের মধ্যে ৩০ জন ছিলেন নির্দলীয়। কিন্তু সময় যত এগিয়েছে, সেই সংখ্যায় টান পড়েছে। ১৯৯৫-তে ১২ জন, ২০০০ সালে ২০ জন।
আরও পড়ুন: বিহারে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে কি নীতীশই, রবিবার এনডিএ-র বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
বিহার যখন ভাগ হল তখনও নির্দলীয় বিধায়কদের সংখ্যায় খুব একটা হেরফের হয়নি। ২০০৫ সালের নির্বাচনে শেষ বারের মতো দুই অঙ্কের নির্দলীয় বিধায়ক বিধানসভায় ঠাঁই পেয়েছিলেন। ২০১০-এর নির্বাচনে সংখ্যাটা নেমে দাঁড়ায় ৬। গত বারের নির্বাচনে এই সংখ্যাটা ছিল ৪। এ বার তা নেমে হয়েছে ১। আর জামুইয়ের সুমিতই সেই ব্যক্তি যিনি বিহার বিধানসভায় নির্দলীয় বিধায়কদের অস্তিত্বকে জানান দিচ্ছেন।