বাহিনীর ৯৯ জন সদস্যের মধ্যে ৩৬ জনের একটি দল তখন বুরকাপালের রাস্তায় দুপুরের খাওয়া সারতে ব্যস্ত। হঠাৎই শ’খানেক মাওবাদীর একটি দল হামলা চালায় তাদের উপরে। সে কারণেই প্রতিরোধ গড়তে পারেননি জওয়ানেরা। চিন্তাগুম্ফার জঙ্গলে মাওবাদী হানায় ২৫ সিআরপি জওয়ানের মৃত্যুর পরে সিআরপিএফ সূত্রে বলা হয়েছে, জওয়ানেরা কোথায় বসে খাওয়াদাওয়া সারবেন, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট তথ্য ছিল মাওবাদীদের কাছে। ভৌগোলিক অবস্থানের সুবিধে নিয়ে আগে থেকে লুকিয়ে ছিল তারা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের কথায়, ‘‘এটা আসলে ঠান্ডা মাথায় খুন।’’ অন্য দলটি হামলা টের পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছতে গেলে মাওবাদীদের দ্বিতীয় একটি দল তাদের উপর হামলা চালায়। গ্রামবাসীদের ঢাল করে ওই হামলা চালানোয় পাল্টা গুলি চালাতে সমস্যা হয় জওয়ানদের।
গত কালের হামলায় মাওবাদীরা ১৩টি একে ৪৭, ৫টি ইনস্যাস রাইফেল, ৬৭টি আন্ডার ব্যারেল গ্রেনেড লঞ্চারের গ্রেনেড-সহ বিপুল পরিমাণ কার্তুজ নিয়ে পালায়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, বাহিনীর সদস্যদের হত্যা করে তাদের অস্ত্র লুঠ করার উদ্দেশ্যেই ওই হামলা চালায় মাওবাদীরা। সে কারণেই গতকাল হামলায় আইইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইজ) ব্যবহার করা হয়নি। কারণ তাতে অস্ত্রশস্ত্র নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।