CPM

Sudip Roy Burman: বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সকলকে পাশে চান সুদীপ

বক্তৃতায় সুদীপ কড়া সমালোচনা করেন বিপ্লব সরকারের। তিনি দাবি করেন, স্বাস্থ্যের হাল ফেরাতে গিয়ে তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়তে হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আগরতলা শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৮:১৭
Share:

আগরতলার পোস্ট অফিস চৌমুহনীতে কংগ্রেস ভবনের সামনে সভায় সুদীপ রায়বর্মণ, আশিসকুমার সাহা, সমীররঞ্জন বর্মণ। নিজস্ব চিত্র

বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তিপ্রা মথা থেকে সিপিএম, সকলকে সঙ্গে নিয়েই তিনি চলতে রাজি বলে জানান বিপ্লব দেব মন্ত্রিসভার প্রাক্তন সদস্য সুদীপ রায়বর্মণ।

Advertisement

সম্প্রতি দিল্লিতে গিয়ে কং্গ্রেসে যোগ দেন সুদীপ ও আর নেতা আশিসকুমার সাহা। আজ ত্রিপুরায় ফেরার পরে তাঁদের নিয়ে অনুগামীদের বাইক মিছিল শহরের চারটি বিধানসভা কেন্দ্র ঘুরে আসে। তার মধ্যে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্রও।

পরে মিছিলটি আসে পোস্ট অফিস চৌমুহনীর কংগ্রেস কার্যালয়ে। সেখানে হাজির ছিলেন কংগ্রেসের ত্রিপুরার পর্যবেক্ষক অজয় কুমার, সুদীপ রায়বর্মণের বাবা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সমীররঞ্জন বর্মণ, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিত সিন‌রেহার মতো নেতারা।

Advertisement

আজ বক্তৃতায় সুদীপ কড়া সমালোচনা করেন বিপ্লব সরকারের। তিনি দাবি করেন, স্বাস্থ্যের হাল ফেরাতে গিয়ে তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়তে হয়েছিল। তাঁর কথায়, ‘‘আমার কয়েকটি পদক্ষেপ জনপ্রিয় হয়। কিন্তু আমার জনপ্রিয়তা বাড়া কারও সহ্য হচ্ছিল না।’’ তাঁর মতে, ‘‘বেকারদের আর্তনাদে রাজ্যে কর্মসংস্থানের আসল পরিস্থিতি বোঝা যাচ্ছে। টেট পাস করলেও চাকরি পাচ্ছেন না যুবক-যুবতীরা। নার্সের পদ খালি পড়ে রয়েছে।’’

তাঁর দাবি, প্রতি বছর সাড়ে তিন থেকে চার হাজার কর্মী অবসর নিচ্ছেন। কিন্তু শূন্য পদে লোক নিয়োগ করা হচ্ছে না। ফলে শূন্য পদ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। সপ্তম বেতন কমিশনের নামে রাজ্য সরকার ভাঁওতাবাজি করেছে বলেও দাবি করেন সুদীপ। তাঁর দাবি, এখনও ২৮০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাকি রয়েছে।

পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি জানান, রাজ্যে অপরাধ বাড়ছে। কিন্তু পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারছে না। কারণ, স্থানীয় বিজেপি নেতারা পুলিশকে শাসাচ্ছেন। পুলিশ ও ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসের জওয়ানদের যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তা পালন করা হয়নি। সুদীপের দাবি, গণতান্ত্রিক দেশে সকলের সংগঠন করার অধিকার আছে। সে ক্ষেত্রে তিপরা মথা, সিপিএম, আইপিএফটি আক্রান্ত হলে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। তাদেরও কংগ্রেসের পাশে দাঁড়ানো উচিত। কারণ, এই লড়াই ত্রিপুরাকে অপশাসন থেকে মুক্ত করার। সুদীপের বক্তব্য, ‘‘যাঁরা ভোট ভাগ নিয়ে চিন্তিত তাঁরা মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। কারণ, সমস্ত সমীকরণ তৈরি করেই লড়াইয়ে নেমেছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement