রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
লোকসভায় এসপিজি সংশোধনী বিল নিয়ে আলোচনায় আজ তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তৃতা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের জবাবি বক্তব্যে উঠে এল পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি নিয়ে চাপানউতোর। চলতি অধিবেশনের গোড়া থেকেই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছে তৃণমূল। এ ব্যাপারে আলোচনার জন্য লোকসভার স্পিকারকে নোটিসও দেওয়া হয়েছে।
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় আজ এসপিজি প্রসঙ্গ টেনে রাজ্যপাল-বিতর্কের অবতারণা করেন। বলেন, ‘‘বেশি নিরাপত্তা কর্মী রাখা রাজ্যস্তরে মর্যাদার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী যাচ্ছে। রাজ্যপাল নিজে রাজ্য সরকারকে উপেক্ষা করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নিচ্ছেন। জানি না, এর কারণ কী। মুখ্যমন্ত্রীকে কিছুই জানানো হচ্ছে না। রাজ্য সরকারের দেওয়া নিরাপত্তা কেন উনি নেবেন না তা দেখতে আমি অনুরোধ করছি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে।’’ তিনি এ-ও বলেন, ‘‘যাঁরা আমাদের দল ছেড়ে কেন্দ্রীয় শাসক দলে ভিড়ছেন, তাঁদের রাইফেল, মেশিনগান-সহ চার জন সিআরপিএফ জওয়ান দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের নাম এখানে করছি না।’’ এ ক্ষেত্রে তিনি মুকুল রায়ের দিকে ইঙ্গিত করেছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
জবাবে অমিত শাহ বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের যা পরিস্থিতি তাতে বিজেপি কর্মীদের নিরাপত্তা দরকার!’’ তাঁর মন্তব্যে হইচই শুরু হয় কংগ্রেসের বেঞ্চে। কংগ্রেস এবং বাম সাংসদদের উদ্দেশে শাহ বলেন, ‘‘পুরোটা মন দিয়ে শুনুন। সিপিএম এবং কংগ্রেসের রাজনৈতিক কর্মীদেরও পশ্চিমবঙ্গে নিরাপত্তা প্রয়োজন!’’ সুদীপবাবুকে উদ্দেশ্য করে শাহের বক্তব্য, ‘‘শুধু রাজ্যপালই নন, বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদেরও প্রয়োজনে এসপিজি সুরক্ষা দেয় কেন্দ্র।’’