ছবি: পিটিআই।
কেন্দ্রীয় সরকার চাপ তৈরি করছে স্পিকারের উপর— লোকসভায় আজ এই অভিযোগ তুলে সরব হলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
গোটা বাজেট অধিবেশনের জন্য কংগ্রেসের সাত জন সাংসদকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য বলতে ওঠেন তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ। তাঁর কথায়, ‘‘আমি বলতে বাধ্য যে, এখনও পর্যন্ত লোকসভার স্পিকারের আসন থেকে কোনও উদ্ধত আচরণ দেখিনি। স্পিকার সাংসদদের প্রতি যথেষ্ট ধৈর্যশীল এবং শুরুটা খুবই ভাল হয়েছে। কিন্তু আমার এখন সন্দেহ হচ্ছে, মাননীয় স্পিকারের উপর কি কোনও চাপ তৈরি করছে সরকার?’’
সুদীপবাবুর এই প্রশ্নে চিৎকার শুরু হয় সরকারি বেঞ্চ থেকে। এর পরেই সুদীপবাবু সুর নরম করে বলেন, ‘‘এ-পারে এবং ও-পারে যাঁরা বসে রয়েছি, আমরা সকলেই সতীর্থ। স্পিকারকে অনুরোধ জানাচ্ছি সাসপেনশন প্রত্যাহার করে নিন। ’’
আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কে সতর্কতার রাশ সভা-সমাবেশে, দিল্লি বিমানবন্দরে পরীক্ষা রাহুলকে
এটা ঘটনা যে, তৃণমূল নেতৃত্ব এর আগে জানিয়েছিলেন, সংসদে কংগ্রেসের অতিরিক্ত জঙ্গিপনার জন্য সরকার বাড়তি সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে। স্পিকারের সঙ্গে বৈঠকে আচরণবিধি নিয়ে সম্মত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীর চৌধুরী ওয়েল পার করে সরকারি বেঞ্চের দিকে চলে যাওয়ার নিন্দাও করে তৃণমূল। কিন্তু তার পরেও আজ কংগ্রেসের পাশে দাঁড়ানোর কারণ ব্যাখ্যায় সুদীপবাবু বলেন, ‘‘একেই বিরোধী দলের শক্তি কম। তা থেকেও যদি ৭ জনকে বার করে দেওয়া হয়, তা হলে সামগ্রিক ভাবে লোকসভায় সরকার-বিরোধিতার ক্ষেত্রে সমস্যা হবে।’’
তৃণমূল এটাও স্পষ্ট করে জানিয়েছে, সংসদীয় রাজনীতিতে এই বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেসের পাশে দাঁড়ালেও তার সঙ্গে রাজ্যে কংগ্রেস-বিজেপি-বামেদের সঙ্গে তৃণমূলের লড়াইয়ের কোনও সম্পর্ক নেই। এটি একেবারেই সংসদীয় রণনীতির প্রশ্ন।