ছবি: পিটিআই।
আচমকা জিভের স্বাদ চলে যাওয়া বা ঘ্রাণশক্তি হারিয়ে ফেলাকেও এ বার করোনার উপসর্গের মধ্যে শামিল করল কেন্দ্রীয় সরকার। শনিবার করোনার উপসর্গ নিয়ে একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, জ্বর, কাশি, ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট, শ্লেষ্মা নির্গমণ, পেশীর যন্ত্রণা, গলা ব্যথা, নাক থেকে জল পড়া, উদরাময়, ঘ্রাণশক্তি কমে যাওয়া অথবা জিভের স্বাদ চলে যাওয়া কোভিড-আক্রান্তের লক্ষণ হতে পারে।
স্বাদ এবং ঘ্রাণশক্তি হারিয়ে ফেলা কয়েক জনের লালারস পরীক্ষায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রমাণ মিলেছে বলে ব্রিটেন এবং আমেরিকার মতো দেশ মে মাসেই এই দুই উপসর্গকে করোনা সংক্রমণের প্রাথমিক লক্ষণ বলে জানিয়ে দেয়। ভারতে এখনও এমন কোনও রোগীর সন্ধান মেলেনি। কিন্তু যত সময় এগোচ্ছে, ততই চরিত্র বদল করছে করোনাভাইরাস। তার জেরেই নিত্য নতুন উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। গত শনিবার কোভিড পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার দায়িত্বে থাকা ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্সের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানেই এই নয়া দুই উপসর্গকে করোনার প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে গণ্য করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
করোনা নিয়ে এ দিন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে নয়া নির্দেশিকাও প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, হাঁচি-কাশি এবং কথা বলার সময় মুখ থেকে নির্গত ড্রপলেটের মাধ্যমেই মূলত এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে সংক্রমণ ছড়ায়। এমনকি মাটিতে বা অন্য কোনও জায়গায় ড্রপলেট এসে পড়লেও, তাতে ভাইরাস অনেক ক্ষণ টিকে থাকে। সেই অবস্থায় কেউ ওই জায়গাটিকে স্পর্শ করে চোখ, নাক, মুখে হাত দিলে, তা থেকেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় বৈঠক মোদীর
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত হয়ে দ্বিতীয় পুলিশ কর্মীর মৃত্যু কলকাতায়
কেন্দ্রের তরফে আরও জানানো হয়, ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদেরই করোনায় সংক্রমিত হওয়ার সম্ভবনা বেশি। এ ছাড়াও যাঁদের ডায়বিটিস রয়েছে, হাইপার টেনশনে ভোগেন অথবা হৃদরোগ রয়েছে, তাঁদের সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিও অনেক বেশি। এখনও পর্যন্ত করোনার কোনও প্রতিষেধক আবিষ্কার না হওয়ায়, আপাতত অনুসন্ধানী চিকিৎসাতেই ভরসা রাখছে দিল্লি।
এর আগে কোনও করোনা রোগীর পরিস্থিতি গুরুতর হলে, আইসিইউ-তে থাকাকালীন তাঁর উপর হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন এবং অ্যাজিথ্রোমাইসিন প্রয়োগের সুপারিশ করেছিল কেন্দ্র। এ দিন তার পরিবর্তে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ রেমডেসিভির প্রয়োগের কথা সুপারিশ করা হয়েছে। সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ে রোগীর উপর হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন প্রয়োগ করা যেতে পারে বলে জানিয়েছে।