— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
অক্টোবরে মুম্বইয়ে বাতাসে দূষণের মাত্রা ক্রমেই বেড়েছে। গত পাঁচ বছরে এই পরিস্থিতি দেখা যায়নি। দিল্লিতে বায়ুদূষণের অবস্থাও একই। বলছে সমীক্ষা। শীতে বায়ুদূষণের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। অক্টোবর থেকেই বাতাসে দূষণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।
দূষণ নিয়ে গবেষণাকারী একটি সংস্থা জানিয়েছে, দিল্লি, মু্ম্বই, হায়দরাবাদ, কলকাতায় দূষণ সৃষ্টিকারী ‘পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএম) ২.৫’ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মুম্বইয়ে এই পিএম ২০১৯ থেকে ২০২০ সালে বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৪.২ শতাংশ। ২০২১ সালে তা সামান্য কমেছিল। তিন শতাংশ। ২০২২ সালে তা ০.৯ শতাংশ বেড়েছিল। এ বার ২০২৩ সালে তা বৃদ্ধি পেল ৪২.১ শতাংশ।
এর পরেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। বৃহন্মুম্বই ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট (বিইএসটি)-র ৩৫০টি বাসে ফিল্টার বসানো হচ্ছে। তা ছাড়াও বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যেমন, যে সব রাস্তায় যানজট বেশি হয়, সেখানে ‘ভার্চুয়াল চিমনি’ বসানো হবে। কিছু কিছু বাগানে বাতাস পরিশোধনকারী যন্ত্র বসানো হবে। কলকারখানাগুলি থেকে দূষিত বাষ্প বার করে দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত চিমনির উচ্চতা বৃদ্ধি করতে বলা হয়েছে।
২০১৯ সাল থেকে দিল্লিতেও প্রতি বছর পিএম ২.৫ বেড়েছে। ২০১৯ থেকে ২০২০ সালে তা বেড়েছে ৩২ শতাংশ। ২০২০ সাল থেকে ২০২১ সালে তা বেড়েছে ৪৩.৭ শতাংশ। ২০২২ এবং ২০২৩ সালেও তা ক্রমেই বেড়েছে। মনে করা হচ্ছে, দীপাবলির পর তা আরও বৃদ্ধি পাবে। শহরের কিছু অংশে দূষণের পরিমাণ ইতিমধ্যে অনেকটাই বেড়েছে।
হায়দরাবাদে ২০১৯ সাল থেকে ২০২০ সালে পিএম ২.৫ বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৯ শতাংশ। ২০২১ সালে তা ২.৯ শতাংশ কমেছিল। ২০২২ সালে তা বৃদ্ধি পেয়েছিল ২৯.১ শতাংশ। ২০২৩ সালে তা বৃদ্ধি পেয়েছে ১৮.৬ শতাংশ।
কলকাতায় ২০১৯ সাল থেকে ২০২০ সালে পিএম ২.৫ কমেছে ২৬.৮ শতাংশ। ২০২১ সালে তা বেড়েছিল ৫১.৭ শতাংশ। ২০২২ সালে তা কমেছিল ৩৩.১ শতাংশ। ২০২৩ সালে তা আবার বেড়েছে ৪০.২ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় এ বছর দেশের চার শহরে দূষণকণা বা পিএম ২.৫ কমেছে। সেগুলি হল লখনউ, পটনা, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই। মঙ্গলবারই দিল্লি এবং আশপাশের চার রাজ্য পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থানে দূষণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে।