গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
নগদ ১৫ লক্ষ টাকা ঘুষ নিতে গিয়ে দুর্নীতি দমন বিভাগের (এসিবি) হাতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর এক অফিসারের হাতেনাতে ধরা পড়ার অভিযোগ উঠল রাজস্থানে। বিধানসভা ভোটের আগে বৃহস্পতিবারের এই ঘটনার জেরে মরুরাজ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
রাজস্থান এসিবির ডিজি হেমন্ত প্রিয়দর্শী বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন ধৃত ইডি অফিসারের নাম নওলকিশোর মীনা। তিনি বলেন, ‘‘এক ব্যক্তি আমাদের কাছে অভিযোগ করেছিলেন, মণিপুরের ইম্ফলের দফতরে কর্তব্যরত ইডি অফিসার নওল তাঁর কাছে ১৭ লক্ষ টাকা ঘুষ দাবি করেছেন। একটি অর্থলগ্নি সংস্থার দুর্নীতি দমনের মামলায় অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি এসিবি-কে জানান, তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত না করা এবং গ্রেফতার না করার ‘বিনিময়ে’ ওই অঙ্কের ঘুষ চেয়েছিলেন নওল।
প্রিয়দর্শী বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তের পরে আমরা অভিযুক্ত ইডি অফিসারকে ধরতে ফাঁদ পেতেছিলাম। বৃহস্পতিবার জয়পুরের ডিআইজি রবির নেতৃত্বে এসিবির একটি দল নওল এবং তার সহযোগী বাবুলাল মীনাকে ঘুষ নেওয়ার সময় বমাল গ্রেফতার করেছে।’’ ঘটনাচক্রে, বৃহস্পতিবারই রাজস্থান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গোবিন্দ সিংহ দোতাসরার ছেলেকে সরকারি চাকরি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে ইডি।
বিধানসভা ভোটের আগে রাজস্থানে ইডির ‘সক্রিয়তা’ নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে বিরোধী দল কংগ্রেস। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত স্বয়ং ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেলের একটি মন্তব্যের উল্লেখ করে বলেছেন, ‘‘আমাদের রাজ্যের পথেঘাটে এখন নেড়ি কুকুরের চেয়েও বেশি ইডি ঘুরছে।’’ এই পরিস্থিতিতে ইডি অফিসারের ঘুষ নিতে গিয়ে গ্রেফতারির ঘটনা ভোটের রাজস্থানে বিরোধীদের প্রচারের হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ২৬ অক্টোবর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দোতাসরা এবং দলের প্রথম সারির নেতা ওমপ্রকাশ হুদলার ঠিকানায় তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় সংস্থাটির আধিকারিকেরা। পাশাপাশি, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয় মুখ্যমন্ত্রী গহলৌতের ছেলে তথা কংগ্রেস নেতা বৈভব গহলৌতকে। তার পরেই রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, নরেন্দ্র মোদী সরকার বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিরোধীদের উপর চাপ বৃদ্ধি করতে ইডি এবং আর এক কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআইকে ব্যবহার করছে।