মণীশ সিসৌদিয়া। ফাইল চিত্র।
দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী তথা শিক্ষামন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়াকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে প্ল্যাকার্ড, ব্যানার, পোস্টার হাতে পথে নেমেছিল রাজধানীর সরকারি স্কুলের পড়ুয়ারা। অরবিন্দ কেজরীওয়াল সরকারের নির্দেশে পড়ুয়ারা পথে নেমেছিল বলে অভিযোগ ওঠায় এ বার আসরে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। অপ্রাপ্তবয়স্ক পড়ুয়াদের রাজনীতির ময়দানে টেনে আনার অভিযোগে আম আদমি পার্টির বিধায়ক অতিশি মারলেনা-সহ দিল্লির এডুকেশন টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের সুপারিশ করেছে কমিশন।
আবগারি দুর্নীতিতে জড়িত অভিযোগে সিসৌদিয়াকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তিনি যে আঠারোটি দফতরের দায়িত্বে ছিলেন, তার মধ্যে ছিল শিক্ষাও। অভিযোগ, মণীশের গ্রেফতারির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ভাবে আন্দোলনে নামা ছাড়াও প্রতিবাদ জানাতে স্কুলের পড়ুয়াদের পথে নামিয়েছিলেন আপ নেতৃত্ব। গত ক’দিন ধরে বিভিন্ন স্কুলের সামনে ‘আই লাভ মণীশ সিসৌদিয়া’ পোস্টার-ব্যানার, গ্রিটিংস কার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় পড়ুয়াদের। বহু স্কুলের দেওয়ালে স্থানীয় আপ নেতারা মণীশের সমর্থনে পোস্টার-ব্যানার লাগিয়ে দেন বলে অভিযোগ। স্কুল ভবনকে রাজনীতির আখাড়া বানানোর অভিযোগে স্থানীয়দের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছেন আপ নেতারা।
ছোট পড়ুয়াদের রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহারের প্রতিবাদে দিন দু’য়েক আগে শিশু সুরক্ষা কমিশনে অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারি। বিষয়টির পিছনে আপ নেত্রী অতিশির ভূমিকা রয়েছে বলে কমিশনকে জানান তিনি। তার ভিত্তিতে অতিশি ও এডুকেশন টাস্ক ফোর্সের সকল সদস্যের ভূমিকা খতিয়ে দেখে অভিযোগ দায়েরের পরামর্শ দিয়েছে শিশু সুরক্ষা কমিশন। মণীশ বর্তমানে জেলে। জেলে আগে থেকেই বন্দি রয়েছেন আর এক প্রাক্তন মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। ওই দু’জনের পরিবর্তে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্তির জন্য বিধায়ক সৌরভ ভরদ্বাজ ও অতিশির নাম সুপারিশ করে উপরাজ্যপালের কাছে পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী কেজরীওয়াল। এখন দিল্লি পুলিশ যদি শিশু সুরক্ষা কমিশনের সুপারিশ মেনে পদক্ষেপ করে অতিশিকে গ্রেফতার করে, তা হলে নতুন করে একপ্রস্থ অস্বস্তির মুখে পড়তে হবে আপকে।
আজ আপ নেতৃত্বের অভিযোগ, তাদের দাবি মতো স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য মণীশকে মানসিক ভাবে হেনস্থা করছে সিবিআই। সৌরভের অভিযোগ, ‘‘মণীশকে মানসিক ভাবে হেনস্থা করছে সিবিআই। যে হেতু সিবিআইয়ের কাছে মণীশের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ নেই, তাই তাঁকে জোর করে ভুয়ো স্বীকারোক্তিতে সই করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।’’