Mid Day Meal

ডাল-সব্জি নেই, ভাতে হলুদগুঁড়ো ছিটিয়েই মিড ডে মিল পড়ুয়াদের! ছত্তীসগঢ়ের স্কুলের ঘটনায় শোরগোল

স্কুলের প্রধান শিক্ষক এই ঘটনার জন্য মিড ডে মিল সরবরাহকারীদেরই দায়ী করেছেন। অন্য দিকে, আবার মিড ডে মিল সরবরাহকারীরা পাল্টা দাবি করেছেন, তাঁদের পাওনা মেটানো হচ্ছে না।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪ ১৫:৪৪
Share:

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

পাতে নেই কোনও ডাল বা সব্জি। এমনকি পুষ্টিকর কোনও খাবারও। তার পরিবর্তে পড়ুয়াদের মিড ডে মিলে পাতে পড়ছে সাদা ভাত আর তার উপর ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে হলুদের গুঁড়ো। ছত্তীসগঢ়়ের একটি স্কুলে পড়ুয়াদের এই ধরনের মিড ডে মিল ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

Advertisement

এনডিটিভি-র প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, মিড ডে মিলের জন্য সরকার যে ধরনের খাবার বরাদ্দ করেছে, ওই স্কুলে তার বিপরীত ছবিই ধরা পড়েছে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বলরামপুরের বিজাকুরা গ্রামের বিজাকুরা প্রাথমিক স্কুলের ঘটনা। স্কুলের ৪৪ জন পড়ুয়ার জন্য যে মিড ডে মিল বরাদ্দ হয়েছে, তা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে তাদের। শুধু তা-ই নয়, স্কুল কর্তৃপক্ষও আবার দাবি করেছে, এক সপ্তাহ ধরে স্কুলে কোনও সব্জিই খেতে দিতে পারছেন না মিড ডে মিলে।

স্কুলের প্রধানশিক্ষক এই ঘটনার জন্য মিড ডে মিল সরবরাহকারীদেরই দায়ী করেছেন। অন্য দিকে, আবার মিড ডে মিল সরবরাহকারীরা পাল্টা দাবি করেছেন, তাঁদের পাওনা মেটানো হচ্ছে না। পরস্পরের দিকে দায় ঠেলাঠেলির মাঝে পড়ে শিশুরা কেন তাদের প্রাপ্য মিড ডে মিল থেকে বঞ্চিত হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এমনকী এই ঘটনার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যেও পারস্পরিক দোষারোপের পালা শুরু হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

এনডিটিভি-র কাছে স্কুলের মিড ডে মিলের রাঁধুনি সুখিয়া দেবী দাবি করেছেন, ঠিক মতো খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে না। কখনও শুধু ডাল আসছে, কখনও শুধু চাল। সব্জি তো আসছেই না। জেলা শিক্ষা আধিকারিক দেবেন্দ্র নাথ মিশ্র এই ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এই ঘটনাই উত্তরপ্রদেশের একটি স্কুলের মিড ডে মিলের প্রসঙ্গ উস্কে দিয়েছে। ২০১৯ সালের ঘটনা। উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরের এক সরকারি স্কুলে বেশ কিছু দিন ধরেই পড়ুয়াদের পাতে শুকনো রুটি আর সব্জির বদলে শুধু নুন দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। গোপন সূত্রে খবরটা পেয়েছিলেন স্থানীয় এক সাংবাদিক। তিনি ঘটনাটির ভিডিয়ো ও ছবি তোলেন। তার পরই সেটা ভাইরাল হয়ে যায়। মিড ডে মিল নিয়ে যখন কেন্দ্র নানা রকম পদক্ষেপ করছিল, ঠিক সেই সময়েই রাজ্যের একটি স্কুলের এমন ছবি সামনে আসায় বেশ অস্বস্তিতে পড়ে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। স্কুলে মিড ডে মিলের ছবি তোলার অভিযোগে ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে উত্তরপ্রদেশ সরকার।

সাংবাদিকের বিরুদ্ধে যে এফআইআর করা হয় তাতে বলা হয়েছিল, যে দিন ভিডিয়োটি তোলা হয় সে দিন স্কুলেই রুটি বানানো হয়েছিল। সব্জির ব্যবস্থা করার কথা ছিল গ্রামপ্রধানের। কিন্তু তিনি তা না করে স্থানীয় এক সাংবাদিককে ডেকে এনে ভিডিয়ো শুট করান। পঞ্চায়েত প্রধান এবং ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনে স্থানীয় প্রশাসন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement