এ ভাবেই ওরা নিত্যদিন স্কুলে যায়। ছবি সৌজন্য টুইটার।
সেতু তৈরি হয়নি, তাই ওরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার করে স্কুলে পড়তে যায়। জীবন বিপন্ন করেও ওরা প্রতি দিনই এ ভাবে নদী পারাপার করে শুধুমাত্র পড়াশোনার টানে!
স্থানীয়দের দাবি, সেতু তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল প্রশাসন। অভিযোগ, আজও সেই সেতু তৈরি হয়নি। তাই এ ভাবেই খরস্রোতা নদী পেরিয়ে স্কুলপড়ুয়ারা যাতায়াত করে। নিজেদের সুবিধার জন্য ওরা নদীর এ পার থেকে ও পার দড়ি বেঁধে নিয়েছে। আর তাতেই ভর করে নদী পারাপার করে স্কুলপড়ুয়ারা।
সম্প্রতি এমনই একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের প্রকাশিত সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে যে, প্রবল খরস্রোতা একটি নদী। তার এ পার থেকে ও পারে দড়ি বাঁধা। আর সেই দড়ি ধরেই এক এক করে খুব সন্তর্পণে নদী পেরোচ্ছে স্কুল পড়ুয়ারা। হাত ফস্কালেই জলের তোড়ে ভেসে যেতে পারে। এমন বিপদ আছে জেনেও ওরা ভয় পায় না।
স্থানীয়দের আক্ষেপ, একটা সেতু হলে পড়ুয়াদের এই ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে হত না। স্কুলপড়ুয়াদের বাড়ির লোকেরা সব সময় একটা আতঙ্কের মধ্যে থাকেন, ঠিক মতো স্কুলে পৌঁছেছে তো ওরা! ঠিক ভাবে ফিরে আসতে পারবে তো? তার মধ্যে বর্ষাকালে সেই নদী আরও খরস্রোতা হয়। আরও ফুলেফেঁপে ওঠে। কিন্তু সেই ভয়ঙ্করও স্রোতও পড়ুয়াদের পথ আটকাতে পারে না। এ ভাবেই ওরা প্রতি দিন আনাগোনা করছে।
ঘটনাটি ওড়িশার গঞ্জাম জেলার বহরামপুরের। শিক্ষামন্ত্রী সমীররঞ্জন দাসের কাছে এই ভিডিয়ো পৌঁছালে, তিনি দাবি করেন, এ বিষয়ে কিছুই জানতেন না। তবে বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসন এবং বিধায়কের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।