জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়।
হস্টেল নীতিকে কেন্দ্র করে ফের বিতর্কে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়। যার জেরে আজ দিনভর ধর্মঘট পালন হল বিশ্ববিদ্যালয়ে। বন্ধ রইল পঠন-পাঠন।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হস্টেল নীতিতে কিছু পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নেন। ছাত্র-ছাত্রীদের জল ও বিদ্যুতের ভাড়া বৃদ্ধি ছাড়াও লাইব্রেরির ব্যবহারের সময়ে পরিবর্তন ও পোশাক বিধিতেও বেশ কিছু নিয়ম পাল্টানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিয়ম ভাঙলে পড়ুয়াদের বহিষ্কার, ডিগ্রি আটকে দেওয়া, স্কলারশিপ বন্ধ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এর প্রতিবাদে কয়েক দিন ধরেই সরব ছিল ছাত্র সংগঠন। কাল বিষয়টির মীমাংসা করতে বৈঠকে বসেন জেএনইউ কর্তৃপক্ষ ও ইন্টার হস্টেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইএইচএ)-র প্রতিনিধিরা।
জেএনইউ কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, বৈঠক চলাকলীন আইএইচএ-র প্রতিনিধি ছাড়াও অন্য পড়ুয়ারা ঢুকে পড়েন। প্রবল হইচই শুরু হয়ে যায়। যার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন ডিন উমেশ কদম। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, অসুস্থ কদমকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে অ্যাম্বুল্যান্স এলে সেটিকে আটকান বিক্ষোভরত পড়ুয়ারা। অভিযোগ ওঠে, উমেশের স্ত্রী ও পরিবারের অনুরোধ সত্ত্বেও অ্যাম্বুল্যান্স যেতে দেওয়া হয়নি। যদিও ডিনের অ্যাম্বুল্যান্স আটকানোর অভিযোগ অস্বীকার করে পড়ুয়াদের দাবি, তাঁরাই ডিনকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই আচমকা বৈঠক থামিয়ে দেন।
বিক্ষোভকারীদের রেয়াত করা হবে না বলে জানিয়েছেন উপাচার্য এম জগদেশ কুমার। প্রয়োজনে বিক্ষোভকারীদের বহিষ্কারও করা হতে পারে। সূ্ত্রের খবর, কর্তৃপক্ষ সে রকম কোনও কড়া পদক্ষেপ করলে অনির্দিষ্টকালীন ধর্মঘটে যাওয়ার কথা ভাববেন পড়ুয়ারাও।