ফাইল চিত্র।
করোনার ঘোর সঙ্কটে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত বর্ষ ও সিমেস্টারের পড়ুয়াদের পরীক্ষার মুখে ঠেলে দেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ, অযৌক্তিক, এমনকি নিষ্ঠুর সিদ্ধান্ত বলে অভিযোগ প্রতিবাদী ছাত্র নেতাদের। তাঁদের দাবি, সবার বাড়িতে অনলাইন পরীক্ষায় বসার জন্য ল্যাপটপ-স্মার্টফোন-ইন্টারনেটের পরিকাঠামো আছে কি না, তা ধর্তব্যের মধ্যে আনেনি ইউজিসি। সেপ্টেম্বরের শেষের মধ্যে ওই পরীক্ষা শেষ করার নির্দেশ প্রত্যাহারের জন্য কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে আর্জি জানাচ্ছেন তাঁরা।
এসএফআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাসের অভিযোগ, সেপ্টেম্বরের শেষের মধ্যে এত পড়ুয়ার পরীক্ষা নেওয়া অলীক কল্পনা। এই সুযোগে চেষ্টা হচ্ছে অনলাইন পরীক্ষা সকলের উপরে চাপিয়ে দেওয়ার। তাঁর প্রশ্ন, কেন্দ্র কি এক বারও ভেবেছে যে, কী ভাবে পরীক্ষায় বসবেন প্রায় ইন্টারনেট হীন কাশ্মীরি পড়ুয়ারা?
গত কালই ইউজিসি জানিয়েছে, চূড়ান্ত সিমেস্টারের পরীক্ষা খাতায়-কলমে অথবা অনলাইনে কিংবা দু’য়ের মিশেলে নেওয়া যেতে পারে। জেএনইউয়ের ছাত্র সংসদের প্রেসিডেন্ট ঐশী ঘোষের প্রশ্ন, যাঁরা অনলাইন কিংবা খাতায়-কলমের পরীক্ষায় তখন বসতে পারবেন না, তাঁদের কী হবে? এআইএসএ-র প্রেসিডেন্ট এন সাই বালাজির অভিযোগ, পরীক্ষায় বসতে গিয়ে পড়ুয়ারা করোনা সংক্রমিত হবেন কি না, পরীক্ষা কেন্দ্রে কেউ পৌঁছবেন কী করে, কত জনের কাছে অনলাইন পরীক্ষায় বসার পরিকাঠামো আছে, এমন হাজারো প্রশ্নের উত্তর নেই।