প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বিহারে শৈত্যপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি চলছে। হাড়কাঁপানো সেই ঠান্ডাতে স্কুলের মধ্যে মৃত্যু হল এক পড়ুয়ার। নাম মণীশ কুমার। ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব চম্পারণ জেলার চাকিয়ার একটি সরকারি স্কুলে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, অন্যান্য দিনের মতো বুধবারও স্কুলে এসেছিল মণীশ। তবে তার পরনে ছিল না কোনও শীতপোশাক। মণীশের বন্ধুদের কাছ থেকে জানতে পারা গিয়েছে, সকালে কিছু না খেয়েই স্কুলে এসেছিল সে। স্কুল চত্বরে প্রার্থনা চলছিল। সেই প্রার্থনা চলাকালীন আচমকাই জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যায় মণীশ। তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানেই মৃত্যু হয় তার।
মণীশের দাদা চন্দন বলে, “প্রতি দিনের মতো বুধবারেও স্কুলে গিয়েছিল ভাই। কিছু ক্ষণ পরই শিক্ষকরা এবং কয়েক জন পড়ুয়া এসে আমাকে বলে, মণীশ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ওকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এ কথা শুনে হাসপাতালে ছুটে যাই বাড়ির সকলে। কিন্তু সেখানে কাউকে দেখতে পাইনি। হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি মণীশের মৃত্যু হয়েছে।” জেলা শিক্ষা আধিকারিক সঞ্জয় কুমার জানিয়েছেন, প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যে ওই পড়ুয়া কোনও রকম শীতপোশাক পরে আসেনি। তা ছাড়া জানা গিয়েছে, পড়ুয়া সকালে কিছু খায়নি। আর সে কারণেই অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল। তাঁর দাবি, বাড়িতে মারধর করা হয়েছিল পড়ুয়াকে। আর সেই রাগেই না খেয়ে, শীতপোশাক না পরে স্কুলে চলে এসেছিল সে। কিন্তু কী কারণে মৃত্যু হল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই তা জানা যাবে।