ঘর থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় শিশুটিকে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রতীকী ছবি।
‘হোমওয়ার্ক’ না করে আসায় সাত বছরের এক পড়ুয়াকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল এক স্কুলশিক্ষকের বিরুদ্ধে। আর তার জেরেই গুরুতর জখম হয়ে মৃত্যু হয় শিশুটির। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের সহরসা জেলার একটি আবাসিক স্কুলে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত শিক্ষক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
শিশুটির বাবার অভিযোগ, স্কুলের অধ্যক্ষ ‘হোমওয়ার্ক’ দিয়েছিলেন। কিন্তু পুত্র সেই ‘হোমওয়ার্ক’ করে নিয়ে যেতে পারেনি। পড়ার না করার জন্য পিটিয়ে ‘শাস্তি’ দেন শিক্ষক। তাতেই মৃত্যু হয় তাঁর সন্তানের। পুলিশের কাছে তিনি বলেন, “স্কুলেরই এক পড়ুয়ার কাছ থেকে খবর পাই। স্কুলে এসে দেখি ঘরের মধ্যে অচৈতন্য হয়ে পড়ে রয়েছে। ওকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু চিকিৎসকরা জানান, অনেক আগেই মৃত্যু হয়েছে।”
শিক্ষকের বিরুদ্ধে সন্তানকে খুনের অভিযোগ এনে একটি এফআইআর দায়ের করেছেন শিশুটির বাবা। এই ঘটনায় সহরসার ওই আবাসিক স্কুলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পুলিশ আধিকারিক ব্রজেশ চৌহান জানিয়েছেন, অভিযুক্ত শিক্ষকের খোঁজ চালানো হচ্ছে। অভিভাবকদের একাংশ স্কুল কর্তৃপক্ষের এই ভূমিকায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন। শুধু তাই-ই নয়, অধ্যক্ষের কঠোর শাস্তির দাবিও তুলেছেন তাঁরা।