Gangrape

স্কুল চত্বর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণ, অভিযুক্তরা একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির

পুলিশ সূত্রে খবর, ১৮ ডিসেম্বর ছাত্রীটির স্কুলে স্পোর্টস ছিল। সেই সময় তাকে তিন কিশোর অপহরণ করে। তার পর তাকে একটি পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

গুরুগ্রাম শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৩ ১১:৪৪
Share:

কিশোরীকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়ায় তিন মাস ভয়ে কাউকে কিছু জানায়নি সে। কিন্তু শনিবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। প্রতীকী ছবি।

স্কুল চত্বর থেকে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণের পর গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল অন্য স্কুলের দুই ছাত্র এবং এক স্কুলছুট তরুণের বিরুদ্ধে। শুধু ধর্ষণই নয়, ছাত্রীর ভিডিয়ো তুলে সমাজমাধ্যমে ছড়িয়েও দেয় অভিযুক্তরা। এমনকি ছাত্রীটিকে হুমকি দেওয়া হয়, এই ঘটনার কথা কাউকে জানালে খুন করা হবে তাঁকে। ফলে সেই ঘটনার কথা বাড়ির কাউকে জানানোর সাহস পায়নি ছাত্রী। হরিয়ানার গুরুগ্রামের সোহনা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছিল গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর।

Advertisement

শুক্রবার পর্যন্ত এই ঘটনা সম্পর্কে অবহিত ছিল না ছাত্রীর পরিবার। তাঁর আপত্তিকর ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ঘুরছে, এ কথা জানার পর শনিবার বাবা-মায়ের কাছে গোটা ঘটনাটি খুলে বলে সে। এর পরই পুলিশের কাছে তিন কিশোরের নামে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন কিশোরীর বাবা-মা।

পুলিশ সূত্রে খবর, ১৮ ডিসেম্বর ছাত্রীটির স্কুলে স্পোর্টস ছিল। সেই সময় ছাত্রীটিকে তিন কিশোর মিলে অপহরণ করে। তার পর তাকে একটি পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে যায়। অভিযোগ, সেখানে তিন জন মিলে তাকে ধর্ষণ করে। তার আপত্তিকর ভিডিয়ো তুলে সমাজমাধ্যমে ছড়ানো এবং প্রাণে মারার হুমকিও দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে দু’জন অন্য স্কুলে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ে। তৃতীয় জন স্কুলছুট। অভিযুক্তদের খোঁজে তাদের বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। কিন্তু তাদের হদিস মেলেনি।

Advertisement

গুরুগ্রামের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার উপাসনা সিংহ বলেন, “অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই তাদের গ্রেফতার করা হবে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৩ (অপহরণ), ৩৭৬-ডি এ (১৬ বছরের নীচে মহিলাকে গণধর্ষণ) এবং পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement