ড্রাইভারের সঙ্গে ধস্তাধ্বস্তি টেম্পো ড্রাইভারের। ছবি ফেসবুক ভিডিয়োর দৃশ্য।
রাস্তায় পুলিশের গাড়ির সঙ্গে টেম্পোর সংঘর্ষ। সেই নিয়ে টেম্পো ড্রাইভারের সঙ্গে পুলিশের তর্কাতর্কি। সেই তর্কাতর্কি হিংসার চেহারা নিল যখন ওই টেম্পো ড্রাইভার ছুরি দিয়ে আঘাত করে বসেন এক পুলিশ অফিসারকে। রবিরার এ রকমই ঘটনা ঘটেছে দিল্লির মুখার্জি নগর এলাকায়। এই ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দানা বেধেছে বিতর্ক।
রবিবার পুলিশের গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে একটি টেম্পোর। তার পরই সেই টেম্পো ড্রাইভারের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন এক পুলিশ অফিসার। এরপরই ওই অফিসারের ডাকে সেখানে উপস্থিত হয় পুলিশের একটি দল। লাঠি হাতে থাকা সেই পুলিশের দল ড্রাইভারের দিকে তেড়ে আসে। পাল্টা দিতে হাতে ছুরি নিয়ে তেড়ে যান মাথায় সেই গড়িচালক। সেই ধস্তাধ্বস্তির সময়ই তাঁর ছুরির আঘাতে আহত হন এক পুলিশকর্মী।
তার পরই পুলিশরা তেড়ে এসে লাঠি চালাতে শুরু করে চালকের উপর। ঘটনার সময় ওই চালককে আটকানোর চেষ্টা করছিলেন তাঁর ছেলে। অভিযোগ, পুলিশ তাঁর উপরেও নির্মমভাবে লাঠি চালায়। এই গোটা ঘটনার ভিডিয়ো ক্যামেরাবন্দি করে সেখানে উপস্থিত অন্যান্যরা। তার পরই সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়।
কিন্তু ঘটনার শেষ হয়নি এতেই। এই ঘটনায় রাজনৈতিক রং লাগে যখন রাজৌরি গার্ডেনের বিজেপি বিধায়ক মনজিন্দর সিংহ সিরসা অভিযোগ তোলেন, পাগড়ির জন্য ওই ড্রাইভারকে অপমান করা হয়েছে। এর পরই মুখার্জি নগর পুলিশ স্টেশনের বাইরে মধ্যরাত অবধি চলে ধর্না। দিল্লি পুলিশের ‘নৃশংসতা’র বিরুদ্ধে সরব হন ধর্নাকারীরা।
আরও পড়ুন: টাকার জন্য মহিলাকে রাস্তায় ফেলে পেটাল কংগ্রেস নেতার ভাই!
এরপরই বিষয়টি নিয়ে নড়ে চড়ে বসে প্রশাসন। ঘটনার নিন্দা করে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালও। তিনি ঘটনার নিন্দা করে নিরপেক্ষ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এই ঘটনার জেরে তিন জন পুলিশ কর্মীকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছেন পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা।
আরও পড়ুন: জন্মদিনেই মোদীর ডাক পেলেন রাহুল