প্রতীকী ছবি।
প্রতিষেধক নেওয়ার পরে শরীরে তৈরি হওয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সক্রিয় থাকছে প্রায় ৯ মাসের কাছাকাছি। তাই ওই সময়ের পরেই বুস্টার ডোজ় নেওয়া উচিত বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের একাংশ মনে করলেও সরকারি ভাবে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে আজ ফের জানিয়েছেন নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) বিনোদ পল। তাঁর কথায়, এই মুহূর্তে সরকারের লক্ষ্য, সকলকে দুই ডোজ় টিকার আওতায় নিয়ে আসা। বুস্টার ডোজ় বা ছোটদের টিকাদান নিয়ে সবুজ সঙ্কেত আসেনি।
আজ সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটির বৈঠকেও সিরাম ইনস্টিটিউটের বুস্টার ডোজ় দেওয়ার আবেদনটি নিয়ে আলোচনা হয়। সূত্রের মতে, কেন বুস্টার ডোজ়ের প্রয়োজন, বৈঠকে সিরামের প্রতিনিধিদের কাছে তা জানতে চাওয়া হয়। প্রয়োজনীয় পরিসংখ্যানও জমা দিতে বলা হয়েছে। একাধিক দেশ বুস্টার ডোজ় দেওয়া শুরু করেছে সেই যুক্তিতে, ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার কাছে ভারতেও বুস্টার ডোজ়ের অনুমতি চায় সিরাম, গত ১ ডিসেম্বর।
দেশে করোনা ভাইরাসের ওমিক্রন প্রজাতি ছড়িয়ে পড়ায় নতুন করে বুস্টার ডোজ়ের দাবি উঠেছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চও (আইসিএমআর) সংসদীয় কমিটিকে গত সপ্তাহে জানায়, গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দ্বিতীয় দফা প্রতিষেধক নেওয়ার ৯ মাস পর থেকে শরীরে করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে আসতে শুরু করে। তাই ৯ মাসের মাথায় বুস্টার ডোজ় দেওয়া প্রয়োজন। তবে বিনোদ জানান, বাস্তবে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাংবাদিক বৈঠকে আইসিএমআর প্রধান বলরাম ভার্গবকে পাশে বসিয়ে বিনোদ বলেন, ‘‘কিছু দেশে বুস্টার ডোজ় চালু হয়েছে। কিন্তু ভারতের মতো দেশে দু’দফা টিকাকরণের ডোজ় সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়া অনেক বেশি জরুরি। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বুস্টার ডোজ় নিয়ে কী ধরনের কাজ চলছে, সে দিকে নজর রাখা হচ্ছে। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) বা দেশে ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজ়রি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন (এনটিএজিআই) বুস্টার ডোজ বা ছোটদের টিকাকরণ নিয়ে সবুজ সঙ্কেত দেয়নি।’’
ওমিক্রন যত ছড়াচ্ছে, দেশের মানুষ কোভিড-বিধি পালনে তত গা-ছাড়া মনোভাব দেখাচ্ছেন বলে সমীক্ষায় দেখেছে হু। দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর আগে মানুষ যে গা-ছাড়া মনোভাব দেখিয়েছিলেন, বর্তমান পরিস্থিতি সেই পর্যায়ে বলেই হু-র রিপোর্টে উল্লেখ। বিনোদ বলেন, ‘‘আবার সেই বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছি। গত বার করোনা চলে গিয়েছে ভেবে অনেকে মাস্ক পরছিলেন না। এ প্রবণতা না পাল্টালে দ্বিতীয় ঢেউয়ের পুনরাবৃত্তি হতেই পারে।’’