এমসের প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া।
উৎসবের মরসুম শুরু হওয়ার মুখে। আগামী সপ্তাহেই মহালয়া। দেশের একটি বড় অংশে তার পরেই শুরু হয়ে যাবে নবরাত্রি পালন। উৎসবের ওই দিনগুলিতে করোনার সংক্রমণ যাতে কোনও মতেই নতুন করে শক্তিবৃদ্ধি করতে না পারে, তার জন্য আগামী দেড়-দু’মাস দেশবাসীকে খুব সতর্ক ভাবে কাটানোর পরামর্শ দিলেন এমসের প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া। তাঁর মতে, আগামী ছয়-আট সপ্তাহ যদি সাবধানে থাকা যায়, তা হলেই গোটা দেশে কোভিড রোগীর সংখ্যা অনেকটা কমে আসবে। বছরের শেষের মধ্যেই ভারতে করোনা সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণ করে ফেলা সম্ভব হবে।
গত চব্বিশ ঘণ্টায় দেশে ২৬,৭২৭ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। কেরল, মহারাষ্ট্র, তেলঙ্গানা ও উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির করোনা পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগে রেখেছে কেন্দ্রকে। স্বাস্থ্যকর্তাদের আশঙ্কা হল, দেশের অন্যত্র পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও উৎসবের মরসুমে মানুষের লাগামছাড়া ভিড় নতুন করে করোনা সংক্রমণে ইন্ধন জোগাতে পারে, যা শেষ পর্যন্ত সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউকে ডেকে আনতে পারে। তাই অনেক আগে থেকেই দেশবাসীকে এ বারের মতো উৎসবে পথে নামা বন্ধ রেখে ঘরে থেকে প্রাযুক্তিক মাধ্যমে আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে উৎসব পালনের পরামর্শ দিয়ে আসছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।
আজ এমস প্রধান গুলেরিয়াও জানান, আগামী ছয় থেকে আট সপ্তাহ খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, দেশ জুড়েই করোনা সংক্রমণের হার নিম্নমুখী। এই সময়ে সংক্রমণকে বেঁধে রাখা গেলে বছরের শেষে এ দেশে অতিমারিকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করে ফেলা যাবে। গোটা দেশেই রোগীর সংখ্যা নগণ্যে এসে ঠেকবে। সেই জন্য এ বার যথাসম্ভব বাড়িতে থেকে উৎসব পালনে জোর দিয়েছেন তিনিও।