উদিতা পাল। ছবি : টুইটার থেকে।
মেয়ের কাছে সম্ভাব্য পাত্রের প্রোফাইল পাঠিয়েছিলেন বাবা। জবাবে মেয়ে সটান চেয়ে বসলেন সেই পাত্রের বায়োডেটা। প্রস্তাব দিলেন তাঁর নিজের সংস্থায় এসে চাকরি করার। পাত্রের কাজের অভিজ্ঞতা রীতিমতো আকর্ষক। আর তাঁর নিজের সংস্থার জন্যও যে ঠিক এমনই ‘প্রোফাইল’ দরকার!
বেঙ্গালুরুর ওই পাত্রীর নাম উদিতা পাল। তিনি একটি স্টার্টআপ সংস্থার মালিক। তাঁর সংস্থা আন্তর্জাতিক আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কাজ করে। গত কয়েক দিন ধরেই কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছিল উদিতার সংস্থায়। এর মধ্যেই তাঁকে সম্ভাব্য পাত্রের প্রোফাইল পাঠান তাঁর বাবা। তার পরই এই কাণ্ড।
ঘটনাটির কথা টুইটারে জানিয়েছেন উদিতা। সঙ্গে বাবার সঙ্গে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথনের একটি স্ক্রিনশটও দিয়েছেন। সেই স্ক্রিনশটে স্পষ্ট, সম্ভাব্য পাত্রের কাছে চাকরির জন্য বায়োডেটা চেয়ে পাঠানোর পরই হোয়াটসঅ্যাপ কথা হয়েছে বাবা এবং মেয়ের। পুরো ঘটনা দেখে থ নেটাগরিকরা।
উদিতার দেওয়া স্ক্রিনশট অনুযায়ী বাবা ও মেয়ের কথাবার্তা চলেছে এই ভাবে—
বাবা: আমরা কি কথা বলতে পারি?
—জরুরি কথা
—তুমি জানো তুমি কি করেছ
—তুমি ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইট থেকে কর্মী নিয়োগ করতে পারো না।
—এ বার ওঁর বাবাকে কী বলব
—আমি ওঁকে পাঠানো তোমার মেসেজও দেখেছি। তুমি ওঁকে ইন্টারভিউয়ে আসার লিঙ্ক পাঠিয়েছ। ওর বায়োডাটাও চেয়েছ
—তোমার কি মাথা খারাপ হল! উত্তর দাও
উদিতার জবাব—(হাসি)
—সাত বছরের আর্থিক লেনদেনের অভিজ্ঞতা থাকা তো দারুণ। আমরা তো লোকও নিচ্ছি।
শেষে অবশ্য বাবাকে ‘সরি’ও বলেছেন উদিতা। তবে তাতে লাভ হয়নি। উদিতা জানিয়েছেন, এই কথোপকথনের পর ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইট থেকে উদিতার প্রোফাইলটিই মুছে দিয়েছেন তাঁর বাবা।
উদিতার পোস্টটি ইতিমধ্যেই ১২ হাজারের বেশি লাইক পেয়েছে টুইটারে। টুইটটি শেয়ার হয়েছে প্রায় দেড় হাজার বার। পরে ফলোয়ারদের এই ঘটনার সাম্প্রতিকতম খবর দিয়ে উদিতা লেখেন, সেই ‘সম্ভাব্য পাত্র’কে শেষ পর্যন্ত তিনি চাকরি দিতে পারেননি। কারণ তাঁর বেতনের দাবি মেটানো উদিতার পক্ষে সম্ভব হয়নি।
জবাবে উদিতাকে সহানুভূতি জানিয়ে নেটাগরিকরা বলেছেন, তিনি বিয়ের ওয়েবসাইটে কর্মী খুঁজে পাননি ঠিকই। তবে তাঁদের আশা, উদিতা চাকরির ওয়েবসাইটে নিশ্চয়ই নিজের উপযুক্ত পাত্র খুঁজে পাবেন!